চণ্ডীগড়: এখনও যেন ঘোরের মধ্যে আছেন। হেড কোচ রমেন সিংয়ের বারবার মনে পড়ছে চণ্ডীগরের এক বিকেলের কথা। সালটা ২০১৮। তারিখ, ৬ জানুয়ারি। ১৫ বছরের একটা মেয়ে ইউক্রেনের প্রতিপক্ষকে স্ট্রেট (৬-৪, ৬-৪) সেটে হারিয়ে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের গ্রেড থ্রি টুর্নামেন্ট জিতেল। গোটা স্টেডিয়ামে সেই কিশোরীর সমর্থক বলতে শুধুমাত্র তার মা। আর কিছু কচিকাঁচা।
জুনিয়র টুর্নামেন্টে সে দিন এমা রাডুকানুর (Emma Raducanu) পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন রমেন সিং। প্রথম ম্যাচে ভারতের প্রিঙ্কলে সিং নামে এক খেলোয়াড়কে হারিয়েছিল ওই ১৫ বছরের মেয়ে। তারপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট জয়। সব ম্যাচই স্ট্রেট সেটে জয়। সেই মেয়েই আজ বিশ্ব টেনিসের উজ্জ্বল এক নক্ষত্র হয়ে উঠেছেন। ইউএস ওপেন জেতা রাডুকানুর। ২০১৯ সালে পুনেতেও একই ঘটনা। চন্ডীগড়, পুণেতে খেলে যাওয়া সেই অপরিচিত মেয়েটাই আজ টেনিস বিশ্বের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছেন। সৌজন্যে যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
কেমন ছিল সেই দিনগুলো? ”ভারতীয় খাবার বেশ পছন্দ হয়েছিল রাডুকানুর। কিন্তু ডায়েটের বাইরে যেতে আপত্তি। ১৫ বছর বয়সেই রাডুকানুর নিষ্ঠা ছিল প্রশ্নের উর্ধ্বে। প্রতিদিন ম্যাচে আগে চলে আসত। খেলা শুরুর আগে চুটিয়ে প্র্যাকটিস। কারণ একটাই, ভারতীর পরিবেশ পরিচত নয়। অপরিচিত পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। তাই অনুশীলনই ছিল ওর একমাত্র অস্ত্র।” ফ্লাশিং মিডো চ্যাম্পিয়ন হিসিবে স্মৃতি চারণায় চেয়ার আম্পায়ার দীপক যাদব।
ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন সামনে লম্বা পথ। নিজেকে ফিট রাখতে পারলে এবং অন্তর্জাতিক টেনিসের চাপ নিতে পারলে রাডুকানু ভবিষ্যতে টেনিসের নতুন তারকা হয়ে উঠবেন সন্দেহ নেই। আর এমন এক প্রতিভার সঙ্গে নিজেদের পরিচয় পর্বের কথা জানাতে গিয়ে অপ্লুত দীপক যাদব, রমেন সিংরা।