কলকাতা: মাধুরী সিংয়ের নাম এখনও ভোলেননি অনেকে। বুসান এশিয়ান গেমসের (Asian Games 2023) ৮০০ মিটারে রুপো পেয়েছিলেন। আমনদীপও পিছিয়ে থাকবেন না। সাউথ এশিয়ান গেমসের ১৫০০ মিটারে পদক এনেছিলেন গত শতাব্দীতে। যাঁরা ট্র্যাকে পদক ফলাতেন, তাঁরা যে সোনার মেয়েরে জন্ম দেবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী। অল্পের জন্য মেয়ে সোনা পাননি হানঝাউ এশিয়ান গেমসে। কিন্তু বাবা আর মা, দু’জনকেই নিরাশ করেননি। আমনদীপের ১৫০০ মিটার আর মায়ের ৮০০ মিটার ইভেন্টেই গলায় রুপো ঝোলালেন হরমিলান বেয়ন্স। পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের মেয়ে জোড়া পদক জিতে কী বললেন? TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।
হাইলাইট করা কার্ল হেয়ার। ইনস্টাগ্রামে বিপুল জনপ্রিয়। শুধু কি তাই, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ভারতীয় সুন্দরীর প্রচুর ফ্যান। কেন, হানঝাউ গেমসে সেটাই প্রমাণ করে দিলেন ২৫ বছরের মেয়ে। পিৎজা ভালোবাসেন। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চফ্রাই প্রিয়। আইসক্রিম ভীষণ পছন্দের। পদকের লক্ষ্যে গত চারমাস এ সবে হাতই দেননি। হানঝাউয়ে জোড়া পদকের পর কী ভাবে সেলিব্রেট করবেন? হলমিলান একগাল হেসে বললেন, ‘কেএফসি আর পিৎজা হার্ট খুঁজব। প্রিয় খাবারে হাতই দিইনি চারমাস। এখন মন ছটফট করছে। পছন্দের খাবার খেয়ে সেলিব্রেট করব সাফল্য।’
২০১৬ সালে উত্থান হলমিলানের। বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ে যেন অ্যাথলিট হন। বাবা আর মার ইভেন্টকেই যে কারণে আঁকড়ে ধরেছিলেন। ২০১৬ সালে এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে ১৫০০ মিটারে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। আমনদীপ-মাধুরী বুঝে গিয়েছিলেন এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। নিরাশও করেননি হরমিলান। ২০২০ সালে খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মিটে নিজের দুটো ইভেন্টেই সোনা জেতেন। তারপর থেকে ক্রমশ উঠে এসেছেন উপরের দিকে। ঢুকে পড়েছেন আলোচনায়। হরমিলান বলছেন, ‘আমি দুটো ইভেন্টের আগে একবারও চাপ অনুভব করিনি। আসলে এটা আমার অনেক দিনের অভ্যেস। আমি এনজয় করার চেষ্টা করি। ৮০০ মিটার রেস ১৫০০ মিটারের থেকেও অনেক বেশি কঠিন ছিল। কিন্তু নিজের সেরাটা দিতে চেয়েছি।’
দেশে ফিরে কী করবেন আগে? হরমিলান বলে দিলেন, ‘আমি বিমানবন্দরে বাবা-মাকে আসতে বলেছি। আমার মা ২০০২ সালে এশিয়ান গেমস থেকে রুপো জিতেছিল। মা, বাবা না থাকলে এই পর্যন্ত আসাই হত না। ওদের স্বপ্নপূরণ করার জন্যই এশিয়ান গেমসে নিজেকে সফল দেখতে চেয়েছিলাম। যে দুটো পদক পেয়েছি, বাবা-মার গলায় পরিয়ে দেব।’