লন্ডন: এবছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে নামার জন্য তৈরি নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। কারণ কোভিড ভ্যাকসিন না নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। উইম্বলডনে (Wimbledon) সেরকম কোনও নিয়ম না থাকায় খেতাব ধরে রাখার লক্ষ্য নামতে পারছেন সার্বিয়ান টেনিস (Tennis) তারকা। এবারের উইম্বলডন জিততে পারলে এই আসরে টানা চারবার খেতাবজয়ী চতুর্থ টেনিস খেলোয়াড়ে পরিণত হবেন জকোভিচ। একইসঙ্গে পিট সাম্প্রাসের সঙ্গে একাসনে বসার সুযোগও রয়েছে। ২৭ জুন থেকে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ঘাসের কোর্টে শুরু হয়ে যাবে ‘যুদ্ধ’। তার আগে নোভাক বলছেন, বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের নামার জন্য অতিরিক্ত অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন তিনি।
ভ্য়াকসিন না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় ৩৫ বছরের নোভাক অস্ট্রেলিয়া ওপেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতের রায় টেনিস তারকার পক্ষে না যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। যার প্রভাব পড়ে জকোভিচের রেটিংয়ে। ক্রমতালিকার ১ নম্বর স্থান থেকে পিছলে যান তিনি। সেই ফাঁকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেন জিতে নোভাক ও রজার ফেডেরারের থেকে গ্র্যান্ড স্ল্যামের ব্যবধান বাড়িয়ে নেন রাফায়েল নাদাল। প্রতিযোগিতার বাজারে খানিকটা পিছিয়ে পড়লেও ভ্যাকসিন না নেওয়ার সিদ্ধান্তের জেদে অনড় তিনি। তাই যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে অংশ নেওয়া হচ্ছে না নোভাক জকোভিচের। এই মুহূর্তে তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবের সংখ্যা ২২।
গত তিনটি সংস্করণের মতো অল ইংল্যান্ডের ঘাসের কোর্টে এবার আধিপত্য বজায় রাখতে চান জকোভিচ। টানা চারবারের পাশাপাশি সপ্তম উইম্বলডন খেতাব জয়ের লক্ষ্যে নামবেন তিনি। তেমনটা হলে পিট সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে ফেলবেন। এই বিষয়ে নোভাকের বক্তব্য, “পিট সাম্প্রাসের প্রথম উইলম্বলডন জয়, টিভিতে দেখা আমার প্রথম টেনিস ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে আমার যোগাযোগ অত্যন্ত গভীর। পিট সাতবার টুর্নামেন্ট জিতেছেন। আশা করি চলতি বছরে আমিও সেখানে পৌঁছতে পারব।”