Chess Olympiad 2022: কাশ্মীর বিতর্ক তুলে দাবা অলিম্পিয়াড থেকে নাম প্রত্যাহার পাকিস্তানের!

আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাবেলায় চেন্নাইয়ে দাবা অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের মাটিতে বসা এই মেগা দাবা টুর্নামেন্টের আসর থেকে হঠাৎই নাম প্রত্যাহার পাকিস্তানের। তাদের অভিযোগ, দাবা অলিম্পিয়াড ঘিরে 'রাজনীতি' করছে ভারত।

Chess Olympiad 2022: কাশ্মীর বিতর্ক তুলে দাবা অলিম্পিয়াড থেকে নাম প্রত্যাহার পাকিস্তানের!
দাবা অলিম্পিয়াড বয়কট পাকিস্তানেরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 4:12 PM

নয়াদিল্লি: দাবা অলিম্পিয়াডেও এ বার ঢুকে পড়ল কাশ্মীর বিতর্ক। যার জেরে দাবা অলিম্পিয়াড থেকে নাম তুলে নিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে চেস অলিম্পিয়াড। কিন্তু ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডে থাকছে না পাকিস্তান। চব্বিশ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। পাকিস্তান টিম চেস অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার জন্য তৈরিও ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ এই মেগা দাবা প্রতিযোগিতার শুরু হওয়ার দিন পাওয়া গেল আশ্চর্য খবর। শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। অর্থাৎ রাশিয়া ও চিনের পাশাপাশি ভারতে অনুষ্ঠিত দাবা অলিম্পিয়াডের অংশ নিল না প্রতিবেশী দেশটিও। কিন্তু এর পিছনে কারণ কী? পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দাবা অলিম্পিয়াডের মশাল। সেই প্রতিবাদে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পাকিস্তানের অভিযোগ, এই আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতা ঘিরে ‘রাজনীতি’ করছে ভারত।

ভারত, পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক এমনিতে ভালো নয়। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এখনও দ্বন্দ্ব চলছে দুই দেশের। যে কারণে দীর্ঘদিন দুই দেশের মধ্যে কোনও ক্রিকেট সিরিজ হয়নি। বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপের আসরেই শুধু মুখোমুখি নামে দুই টিম। অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রেও নানা সময় চাপানউতোড় দেখা গিয়েছে। সেই কাশ্মীর বিতর্কই এ বার ঢুকে পড়ল দাবাতেও।

গত ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪৪তম দাবা অলিম্পিয়াডের ঐতিহাসিক মশাল রিলের সূচনা করেন। এরপর দাবা অলিম্পিয়াডের মশাল রিলে গত ৪০ দিন ধরে দেশের ৭৫টি শহরে ঘুরেছে। চলতি মাসের ৭ জুলাই কলকাতায় এসে পৌঁছয় মশাল। দমদম বিমানবন্দর থেকে হুডখোলা জিপে বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার সপ্তর্ষি রায়চৌধুরি, গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভ গুহ চেস অলিম্পিয়াডের মশাল এসে আনেন সল্টলেক সাই-তে। সেখানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ চেন্নাইতে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনার আগে মশাল ভেনুতে পৌঁছবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খেলজগত ও রাজনৈতিক ও বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে শুরু হয়ে যাবে ১৮৭টি দেশের মধ্যে দাবা-র বিশ্বযুদ্ধ। কিন্তু তার আগেই রণে ভঙ্গ দিল পাকিস্তান।

ওই দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অসীম ইফতিকার বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, দাবা অলিম্পিয়াডের মতো মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্পোর্টিং ইভেন্ট রাজনীতিকরণের জন্য বেছে নিয়েছে ভারত। বিতর্কিত জম্মু ও কাশ্মীরের উপর দিয়ে অলিম্পিয়াডের মশাল রিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২১ জুন শ্রীনগরের উপর দিয়ে টর্চ রিলে নিয়ে যাওয়া হয়।” পাকিস্তানের দাবি, “কাশ্মীর সমস্যা এখনও মেটেনি। তা সত্ত্বেও কাশ্মীরের উপর দিয়ে মশাল নিয়ে গিয়ে খেলার সঙ্গে রাজনীতি জুড়তে চাইছে ভারত।”

শ্রীনগরের উপর দিয়ে দাবা অলিম্পিয়াডের মশাল নিয়ে যাওয়াকে ‘উস্কানিমূলক’ এবং ‘অসমর্থনযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে তারা। বিষয়টিতে বিশ্ব দাবা ফেডারেশনের কাছে নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঘুরেফিরে বারবার কাশ্মীরকে টেনে আনা পাকিস্তানের স্বভাবের পর্যায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। দাবা অলিম্পিয়াডেও শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরকে টেনে আনল ইসলামাবাদ। প্রশ্ন হল, ২১ জুন যদি কাশ্মীরের উপর দিয়ে চেস অলিম্পিয়াডের মশাল নিয়ে যাওয়া হয়, তখন এ নিয়ে মুখ খোলেনি কেন পাকিস্তান? কেন এতদিন চুপ করে ছিল তারা? নাকি, শেষ মুহূর্তে কাশ্মীর ইস্যু তুলে বিশ্ব রাজনীতির ফোকাস ঘোরাতে চাইছে পাকিস্তান? এ সবের প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?