Lusia Harris: অস্কারের মঞ্চে মহিলা বাস্কেটবলার

The Queen of Basketball: 'দ্য কুইন অব বাস্কেটবল' ২২ মিনিটের একটি অস্কারজয়ী ডকুমেন্টরি। এটির ডিরেক্টর হলেন বেন প্রাউডফুট। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে লুসিয়া হ্যারিসের গল্প।

Lusia Harris: অস্কারের মঞ্চে মহিলা বাস্কেটবলার
দ্য কুইন অব বাস্কেটবলImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 9:30 AM

নয়াদিল্লি: ৬ ফুট ৩ ইঞ্চির একটা মেয়ে দাপিয়ে খেলত বাস্কেটবল (Basketball)। ১৯৯৫ সালে মিসিসিপিতে জন্ম হয়েছিল এই কিংবদন্তি বাস্কেটবল প্লেয়ারের। এনবিএ-র (NBA) তরফ থেকে মহিলা বাস্কেটবলার হিসেবে প্রথম তাঁকে ড্রাফ্টও করা হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। বাস্কেটবল দুনিয়ায় লুসিয়া হ্যারিসের (Lusia Harris) নামটা সুপরিচিত। কিন্তু তাঁকেই ভুলে যেতে বসেছিল মানুষ। এ বার তাঁকে নিয়েই তৈরি হয় একখানা ডকুমেন্টরি। শুধু ডকুমেন্টরি তৈরি হয়েছে বললে তো ভুল বলা হবে। লুইসকে নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টরি জিতে নিয়েছে ৯৪তম অস্কারের (Oscars 2022) সেরা শর্ট ডকুমেন্টরির পুরষ্কার। তবে এই খবরটা জানা হল না লুসির। কারণ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন লুসি। তবে বাস্কেটবলে তাঁর কীর্তি তাঁকে চিরকাল মনে রাখবে এই দুনিয়া। আর এই ডকুমেন্টরি আবার দর্শকদের মনে ফিরিয়ে আনবে বাস্কেটবল কোর্টে লুসির ঝলক।

দ্য কুইন অব বাস্কেটবল

‘দ্য কুইন অব বাস্কেটবল’ ২২ মিনিটের একটি অস্কারজয়ী ডকুমেন্টরি। এটির ডিরেক্টর হলেন বেন প্রাউডফুট। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে লুসিয়া হ্যারিসের গল্প। বাস্কেটবলের দুনিয়ায় লুসিয়া অতি পরিচিত নাম। মহিলাদের বাস্কেটবলের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি। লুসিয়া মন্ট্রিলে ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে মার্কিন দলের হয়ে রুপো অর্জন করেছিলেন। কলেজে পড়ার সময় বাস্কেটবল টিমের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ প্লেয়ার ছিলেন হ্যারিস, সেই তিনিই ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির হয়ে তিনটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। লুসিয়া নিউ অরলিন্স জ্যাজ দ্বারা ১৯৭৭ সালে এনবিএর সপ্তম রাউন্ডে নির্বাচিত হন, কিন্তু তিনি পুরুষদের পেশাদার লিগের হয়ে খেলার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

কেন এনবিএতে খেলতে চাননি লুইস?

‘দ্য কুইন অব বাস্কেটবল’ ডকুমেন্টরিতে যেমন তুলে ধরা হয়েছে লুসিয়ার বাস্কেটবল খেলার একাধিক ফুটেজ। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, এনবিএর তরফ থেকে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হলেও কেন তিনি কেন সেই সুযোগ গ্রহণ করেননি? ওই ডকুমেন্টরির একটি অংশে হ্যারিস বলেন, “একটা সময় নিউ অরলিন্স জ্যাজ থেকে কেউ ফোন করে বলেছিল, ‘আমরা চাই তুমি এখানে এসো এবং দলের হয়ে খেল।’ আমার মনে হয়েছিল, এটা মজা করে বলা হচ্ছে। আর তা ছাড়া আমার মনে হয়নি, যে আমি অতটাও ভালো পারফর্ম করতাম। মেয়েদের বিরুদ্ধে খেলা আর ছেলেদের বিরুদ্ধে খেলার মধ্যে সত্যি একটা পার্থক্য তো রয়েছেই। তাই আমি ওই প্রস্তাবে না বলে দিয়েছিলাম।”

লুসিয়া তাঁর আদর্শ হিসেবে মানতেন অস্কার রবার্টসন, উইল্ট চেম্বারলিন এবং করিম আবদুল-জব্বারদের। লুসির বাস্কেটবলের প্রতি একটা আলাদা ভালোবাসা ছিল। এবং এই ডকুমেন্টরির একটি অংশে দেখানো হয়েছে লুসিয়া নাইসমিথ বাস্কেটবল হল অফ ফেমে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন তাঁ আদর্শ রবার্টসনের হাত ধরে।

আরও পড়ুন: Serena Williams-Venus Williams: অস্কারের মঞ্চ মাতালেন সেরেনা-ভেনাস