Wimbledon: রুশ বোমায় উড়েছে মাথার ছাদ, উইম্বলডনের পুরস্কার মূল্যই তাতাচ্ছে ইউক্রেনীয় তারকাকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

Jun 28, 2022 | 5:12 PM

প্রতিযোগিতার ২৯ নম্বর বাছাই কালিনিনা প্রথম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করে পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছেন।

Wimbledon: রুশ বোমায় উড়েছে মাথার ছাদ, উইম্বলডনের পুরস্কার মূল্যই তাতাচ্ছে ইউক্রেনীয় তারকাকে
অ্যানহেলিনা কালিনিনা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

লন্ডন: অ্যানহেলিনা কালিনিনা (Anhelina Kalnina)। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে লন্ডনে এসেছেন উইলম্বডনে (Wimbledon) অংশ নিতে। ২৭ জুন থেকে শুরু হওয়া এই গ্র্যান্ড স্ল্যামের দ্বিতীয় রাউন্ডে পা দিয়েছেন কালিনিনা। উইম্বলডন অবশ্যই জিততে চান। গ্র্যান্ড স্ল্যামের পুরস্কার মূল্য নিয়ে কি করবেন সেই পরিকল্পনা করেই এসেছেন। উদ্দেশ্যটা সৎ। ২৫ বছরের এই ইউক্রেনীয় টেনিস তারকা বাবা-মাকে বাড়ি তৈরিতে সাহায্য করতে চান। প্রতিযোগিতার ২৯ নম্বর বাছাই কালিনিনা প্রথম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করে পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছেন।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার পর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ছবির মতো সুন্দর দেশটি পরিণত হয়েছে ধ্বংশবশেষে। প্রচুর মানুষের মৃত্যু। মুহূর্মুহূ রুশ বোমার আঘাতে ভেঙে পড়েছে বাড়ি, ঘর, বহুতল আবাসন। হাজারো মানুষ আশ্রয়হারা। প্রাণ বাঁচাতে দিনের পর দিন বাঙ্কারে থেকেছে মানুষ। ইউক্রেনের দক্ষিণভাগে রাজধানী কিভের কাছাকাছি অবস্থিত শহর ইরপিন। সেখানেই থাকতেন টেনিস তারকা অ্যানহেলিনা কালিনিনার বাবা-মা। রাশিয়ার হামলায় তাঁর ঘরের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে বাবা-মাকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছেন টেনিস তারকা। তাঁরা সুরক্ষিত থাকলেও অ্যানহেলিনার ইচ্ছে বাড়ি পুনরায় তৈরি করতে অভিভাবকদের সাহায্য করার। উইম্বলডন জয়ের পুরস্কার মূল্য দিয়ে পরিবারের কষ্ট ঘোচাতে চান। মা-বাবাকে ফিরিয়ে দিতে চান তাঁদের বাসস্থান।

সোমবার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ইউক্রেনীয় টেনিস তারকার প্রতিপক্ষ ছিলেন হাঙ্গেরির অ্যানা বন্ডার। প্রথম সেট হেরে গেলেও পরের সেটে কামব্যাক করে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন তিনি। ম্যাচের ফলাফল ৪-৬,৬-২,৬-৪। দ্বিতীয় সেটে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি কালিনিনা। ম্যাচ জয়ের পর বললেন, “বাড়ির উপর হামাল হয়েছিল। ঘরের ভেতর বড় একটা গর্ত। ওই এলাকায় আর কোনও অ্যাপার্টমেন্ট নেই যেটা ধ্বংস হয়নি। বাড়িটি পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে। তাই বাবা-মা এখন আমার অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন যেখানে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকি।”

টুর্নামেন্টের ফেভারিট তিনি নন। জেতাটা সহজ হবে না তা ভালোমতোই জানেন। তবে পুরস্কার মূল্যের জন্যই ম্যাচের দিকে বেশি ফোকাস করতে চান। যাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারেন। কালিনিনা বলেন, “এই পরিস্থিতিতে ফোকাস রাখা খুব কঠিন। তবে আমার কাছে হার-জিতটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দাদু-দিদাদেরও সাহায্য করছি। যত জিতব ততই মানুষকে সাহায্য করতে পারব। উইম্বলডনে খেলার সুযোগ অবশ্যই সম্মানের। তবে আমার মনে হয়, যত এগোব তত বেশি অর্থের পুরস্কার জিতব।” এই ভাবনাই উইম্বলডনে মেয়েদের সিঙ্গলসে তাতাচ্ছে অ্যানহেলিনা কালিনিনাকে।

Next Article