Bajrang Punia: হাঁটু-গোড়ালির জন্য ব্যবহৃত হওয়া ব্যান্ডেজ মাথার চোটে! ক্ষুব্ধ বজরং পুনিয়া

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Sep 23, 2022 | 12:56 PM

বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের বাউট চলাকালীন, মাথা ফেটে বজরংয়ের অঝোরে রক্ত ঝরেছিল। সেই নিয়েই লড়াই করে যান। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা বজরংয়ের মাথায় যে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারকা কুস্তিগির।

Bajrang Punia: হাঁটু-গোড়ালির জন্য ব্যবহৃত হওয়া ব্যান্ডেজ মাথার চোটে! ক্ষুব্ধ বজরং পুনিয়া
Bajrang Punia: হাঁটু-গোড়ালির জন্য ব্যবহৃত হওয়া ব্যান্ডেজ মাথার চোটে! ক্ষুব্ধ বজরং পুনিয়া
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়াদিল্লি: বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ (World Wrestling Championships) থেকে চতুর্থ পদক নিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতীয় তারকা কুস্তিগির বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia)। বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের বাউট চলাকালীন, মাথা ফেটে বজরংয়ের অঝোরে রক্ত ঝরেছিল। সেই নিয়েই লড়াই করে যান। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা বজরংয়ের মাথায় যে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারকা কুস্তিগির। সেই টেপ তাঁর মাথায় এতটাই শক্ত ভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, যা রীতমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল বজরংকে। পাশাপাশি বজরংয়ের দাবি, যে ব্যান্ডেজ বাঁধা হয়েছিল তাঁর মাথায়, সেই ব্যান্ডেজ হাঁটু বা গোড়ালির চোটে ব্যবহার করা হয়।

বজরং এ বিষয়ে বলেন, “আমার মাথায় যে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সেটি হাঁটু বা গোড়ালির চোটে ব্যবহার করার জন্য। ওরা আমার মাথায় ঠিক করে টেপটাও লাগিয়ে দেয়নি। কিউবার কুস্তিগির ভালদেস টোবিয়ারের বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টারের বাউটে শেষ হওয়ার পর আমি ওয়ার্ম আপ এরিয়াতে আমার মাথার ব্যান্ডেজটা খুলেছিলাম। সেই সময় আমার মাথায় বিভিন্ন জায়গায় চুল ছিঁড়ে গিয়েছিল। এটা খুব যন্ত্রণাদায়কও ছিল। এবং আমার মাথায় চোটের জায়গাটা চুলকাচ্ছিল। শুধু তাই নয়, পরবর্তী বাউটের জন্য ব্যান্ডেজ বদলাতে আমার কম করে ১৫-২০ মিনিট সময় লেগেছিল। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নামার আগে যে কারণে আমি আমার কোচেদের সঙ্গে উপযুক্ত পরিকল্পনাও করতে পারিনি। উল্টে আমাদের পুরো সময়টা ব্যান্ডেজ বাঁধতেই কেটে গিয়েছিল। শেষ অবধি সেই বাউটটা আমি হেরেও গিয়েছিলাম।”

বজরং জানান, বাউট চলাকালীন, তাঁর মাথায় বাঁধা ব্যান্ডেজ চোখের সামনে চলে আসছিল। যার ফলে তিনি বাউটে মনোসংযোগ করতে পারছিলেন না। বার বার তাঁর ছন্দপতন হচ্ছিল। তিনি সেই সময় পুনরায় চিকিৎসকদের ব্যান্ডেজ করতেও বলতে পারেননি। কারণ, বাউট চলাকালীন চোটের কারণে চার মিনিট বিরতি দেওয়া হয়। তার পরই অ্যাকশনে ফিরতে হয়। তা না হলে প্রতিপক্ষ কুস্তিগিরকে ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হয়। বজরং সেটা চাননি। তাই অস্বস্তি হওয়ার পরও বাউট চালিয়ে যান। অবশেষে রেপচেজের মাধ্যমে ব্রোঞ্জ পদক পান বজরং।

উল্লেখ্য, বজরং পুনিয়ার মাথায় চোটে ৫টি সেলাই পড়েছে। এই চোট সারতে তাঁর প্রায় ১০ দিন সময় লাগবে।

Next Article