Basketball: মাদক কাণ্ডে ৯ বছর জেল তারকা বাস্কেটবলারের, আমেরিকা-রাশিয়া দ্বন্দ্ব তুঙ্গে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Aug 05, 2022 | 5:30 PM

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো বিমানবন্দরে আটক করা হয় ব্রিটনিকে। তাঁর লাগেজে মাদক পাওয়া গিয়েছিল। আমেরিকার হয়ে অলিম্পিকে দু'বার সোনা জিতেছেন। মেয়েদের এনবিএ চ্যাম্পিয়ন টিমেরও অন্যতম সদস্য ব্রিটনি।

Basketball: মাদক কাণ্ডে ৯ বছর জেল তারকা বাস্কেটবলারের, আমেরিকা-রাশিয়া দ্বন্দ্ব তুঙ্গে
মাদক কাণ্ডে ৯ বছর জেল তারকা বাস্কেটবলারের, আমেরিকা-রাশিয়া দ্বন্দ্ব তুঙ্গে
Image Credit source: Twitter

Follow Us

খিমকি: দু’বারের অলিম্পিক বাস্কেটবল (Basketball) চ্যাম্পিয়ন তারকাকে ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আমেরিকা ও রাশিয়া (USA vs Russia)। ব্রিটনি গ্রিনারকে (Brittney Griner) ৯ বছরের জন্য জেল হেফাজতের সাজা শোনানো হয়েছে। মাচক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে। অনেকখানি মাদক সহ তাঁকে আটক করা হয়েছিল। ৩১ বছরের এই বাস্কেটবল তারকাকে জেলে পাঠানো নিয়ে তীব্র হইচই পড়ে গিয়েছে। দুই দেশের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে এর তীব্র প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ান আদালতের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মেনে নিতে পারেননি। শুধু জেল নয়, ১৬৫৯০ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে ব্রিটনির।

বাইডেন এক বিবৃতিতে নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেননি। বলেছেন, ‘রাশিয়ার ব্রিটনিকে আটকে রাখা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। রাশিয়াকে বলব, ওকে যত দ্রুত সম্ভব যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারে, টিমের সঙ্গে যোগ দিতে পারে।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো বিমানবন্দরে আটক করা হয় ব্রিটনিকে। তাঁর লাগেজে মাদক পাওয়া গিয়েছিল। আমেরিকার হয়ে অলিম্পিকে দু’বার সোনা জিতেছেন। মেয়েদের এনবিএ চ্যাম্পিয়ন টিমেরও অন্যতম সদস্য ব্রিটনি। বাস্কেটবল দুনিয়ায় তিনি বেশ জনপ্রিয়। ৬ ফুট ২ ইঞ্চির এ হেন তারকাকে কেন আটক করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল শুরু থেকে। আমেরিকার তরফে বারবার অনুরোধ করা হলেও ব্রিটনিকে ফেরানো হয়নি। দু’দেশের মধ্যে অপরাধী বা বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকায় এ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। শুরু থেকেই মনে হয়েছিল, বড়সড় শাস্তি পেতে পারেন ব্রিটনি।

এমনিতে বহির্বিশ্বে রাশিয়া বেশ চাপে রয়েছে। ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে রাশিয়া সরকার নিন্দার মুখে পড়েছে। ব্রিটনি ইস্যুতে আমেরিকা এ বার পাল্টা চাপ দেওয়া শুরু করবে রাশিয়ার উপর, এমনই মনে করা হচ্ছে। এতে বিপদে পড়তে পারে রাশিয়া।

রাশিয়ান আদালত সাজা শোনানোর পর ব্রিটনি বলেছেন, ‘আমি একটা ভুল করেছিলাম। এর জন্য নিশ্চয়ই আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে না। আদালত যেন বুঝতে পারে, আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। সেটা কবুলও করেছি। ওই সময়টায় আমি তীব্র চাপে ছিলাম। কোভিডের পর ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলাম। তখনই ব্যাপারটা ঘটেছিল।’

নিজের দোষ স্বীকার করে নিলেও ব্রিটনি আদালতকে বলেছেন, নিষিদ্ধ মাদক তাঁর কাছে থাকলেও আইন ভাঙার কোনও ইচ্ছেই ছিল না। রাশিয়ার মাটিতে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহারের ইচ্ছেও ছিল না তাঁর। কিন্তু রাশিয়ার আদালত তাঁর কোনও যুক্তিতেই কান দেয়নি। ব্রিটনির সপক্ষে যে সব যুক্তি পেশ করা হয়েছিল, তাও অগ্রাহ্য করে আদালত।

Next Article