জামাইকা: অবসর ভেঙে টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ফেরার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন উসেইন বোল্ট (Usain Bolt)। আর কেউ নন, বিশ্বের দ্রুততম মানব খোদ জানিয়েছেন এই কথা। কিন্তু তাঁর কোচ এই ভাবনা থেকে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এক সাক্ষাত্কারে সেটাই তুলে ধরেছেন বিদ্যুত্ বোল্ট।
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে (Rio Olympics) শেষবার নেমেছিলেন বোল্ট। ২০১৭ সালে ট্র্যাক থেকে অবসর নিয়েছেন। সেই বোল্ট বলছেন, ‘আর ট্র্যাকে আমাকে কখনও দেখা যাবে না। হতে পারত, যদি এই টোকিও অলিম্পিকেই নামতাম।’
কেন টোকিওতে (Tokyo) ফিরলেন না বোল্ট? তাঁর কথায়, ‘যখন কোচকে জানিয়েছিলাম, আমি অবসর নিতে চাই, উনি আমার সঙ্গে বসে বুঝিয়েছিলেন পুরো ব্যাপারটা। বলেছিলেন, একবার অবসর নিলে আর কখনও ফিরে আসার কথা ভেব না। সুতরাং, অবসর নেওয়ার আগে ভাবনা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিও। ২০১৯ সালে কোচের কাছেই গিয়েছিলাম, আমি আবার ট্র্যাকে ফিরতে চাই, জানিয়েছিলাম। উনি বলেছিলেন, ফেরার কথা চিন্তাই করো না। আমি খুব ভালো করেই জানতাম, কোচকে ছাড়া আমি কখনওই ট্র্যাকে ফিরতে পারব না। আর সেই কারণেই যখন উনি ‘না’ বলে দিলেন, তখন আমার কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না।’
পঁয়ত্রিশে পা দিয়েছেন বোল্ট। কিংবদন্তি স্প্রিন্টার মনে করেন, ১৯৮৮ সালে ফ্লোরেন্স গ্রিফিথের ১০০ ও ২০০ মিটারে গড়া রেকর্ড, যা এখনও অক্ষত আছে, তা ভেঙে দিতে পারেন জামাইকার দুই মেয়ে স্প্রিন্টার শেলি অ্যান ফ্রেজার প্রাইস (Shelly-Ann Fraser-Pryce), এলাইন থমসনরা। এর মধ্যে আবার থমসন টোকিও অলিম্পিকের ১০০ ও ২০০ মিটারে সোনা জিতেছেন।
বোল্ট বলেছেন, ‘থমসনকে দৌড়তে দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ও দারুণ দৌড়য়। টেকনিকও খুব ভালো। একদম শেলির মতো। ওদের দু’জনের কিন্তু গ্রিফিথের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা আছে।’
আরও পড়ুন: বোল্টের টুইটে প্রতিক্রিয়া বিরাট, এবিডির