কলকাতা : পায়োলি তেভারাপারামপিল উষা। এই নামটির সঙ্গে কতজন পরিচিত? সংখ্যাটা হয়তো খুবই কম হতে পারে। কিন্তু পিটি উষা নামটার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। ভারতের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের রানি তিনি। আজকের দিনেই ১৯৬৪ সালে কেরালায় কোঝিকোড় জেলার পায়োলিতে পিটি উষা জন্মেছিলেন। দেখতে দেখতে জীবনের ৫৮টা বছর কাটিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের অন্যতম নক্ষত্র। ১০১টি আন্তর্জাতিক পদক রয়েছে পিটি উষার ঝুলিতে। বর্তমানে তিনি ভারতীয় অ্যাথলিটের নতুন প্রজন্মকে তুলে আনার কাজের সঙ্গে যুক্ত। একইসঙ্গে তিনি অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্টও। আজ পিটি উষার ৫৯তম জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁকে কিছু তথ্য। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ছেলেবেলা থেকেই স্প্রিন্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন উষা। দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। ফলে এক সময় ভগ্ন স্বাস্থ্য পিটি উষার স্বপ্ন সত্যি করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেখান থেকেই লড়াই করে তাঁর উত্থান। তিনি পরিচিত পায়োলি এক্সপ্রেস নামেও। ১৯৭৬ সালে অ্যাথলেটিক্স কোচ ওএম নাম্বিয়ার নজরে পড়েন উষা। নাম্বিয়ার কোচিংয়েই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে দ্যুতি ছড়ানো শুরু করেন উষা। তাঁর হাত ধরেই একের পর এক সাফল্য ধরা দেয় উষার মুঠোয়। দুরন্ত গতির অধিকারী উষা জুনিয়র স্তরেই নজর কেড়েছিলেন।
পিটি উষার আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক হয়েছিল ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিকে। ১০০ মিটার হিটে পঞ্চম স্থানে শেষ করেন উষা। সে বার ভারতের কণিষ্ঠতম (১৬ বছর বয়সে) স্প্রিন্টার হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন উষা। এরপর আরও ২ বার, সবমিলিয়ে মোট তিন বার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে ৪০০ মিটার হার্ডলে চতুর্থ হয়ে শেষ করেন পিটি উষা। তিনি যা পারেননি, তা টোকিও অলিম্পিকে করে দেখিয়েছেন ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনা জিতে ভারতকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম পদকটি এনে দেন নীরজ।
১৯৮২ সালে দিল্লিতে এশিয়ান গেমসে ১০০ ও ২০০ মিটারে রুপো পেয়েছিলেন উষা। এরপর ১৯৮৩ সালে কুয়েতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ৪০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন উষা। সে বার তিনি এশিয় স্তরে রেকর্ডও গড়েছিলেন। ১৯৮৫ সালের জাতীয় গেমসে ৫টি পদক পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল অবধি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ১৪টি স্বর্নপদক পেয়েছিলেন পিটি উষা। আর এই সময়কালে এশিয়ান গেমসে চারটি সোনার পদক পেয়েছিলেন তিনি। শুধু ঝুড়ি ঝুড়ি পদকই নয়, ক্রীড়াক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য পিটি উষা পদ্মশ্রী এবং অর্জুন সম্মানও পেয়েছিলেন।