মিলল অনুমতি, কলকাতার সাইয়ে অলিম্পিক প্রস্তুতি শুরু প্রণতির

raktim ghosh |

May 19, 2021 | 12:00 PM

কিভাবে সারছিলেন তবে অলিম্পিকের অনুশীলন? প্রণতির কথায়, "বাড়ির ছাদে কিছু বেসিক ড্রিল করতাম। টেবিল ও কিছু বক্স নিয়ে জিমন্যাস্টিক্সের প্রাথমিক ট্রেনিংগুলো সারতাম। বাড়িতে থাকার ফলে বাড়ছিল ওজন।"

মিলল অনুমতি, কলকাতার সাইয়ে অলিম্পিক প্রস্তুতি শুরু প্রণতির
ফের অনুশীলনে প্রণতি ফাইল চিত্র

Follow Us

কলকাতাঃ বাংলায় কার্যত লকডাউনের (LOCKDOWN) আওতায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স। বন্ধ মাঠ। ছেদ পড়েছে খেলাধূলায়। তার সঙ্গে জিম বা শরীরচর্চার অন্যান্য কেন্দ্রেও ঝুলছে তালা। বিপত্তিতে বাংলার ক্রীড়াবিদরা। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমস্যা পড়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকে (TOKYO OLYMPIC)যোগ্য অর্জনকারী প্রণতি নায়েক (PRANATI NAYEK)। অলিম্পিকের মত মঞ্চের জন্য় যে প্রস্তুতি নিতে হয়, তার সিকিভাগও করতে পারছিলেননা বাংলার জিমন্যাস্ট (GYMNASTICS)। অবশেষে মিলল সাহায্য। সাই কলাকাতা (SPORTS AUTHORITY OF INDIA) তাঁকে বিশেষ অনুমতি দিল, তাঁদের কেন্দ্রে প্রণতির অলিম্পিকের জন্য অনুশীলনের।

মেদিনীপুরের মেয়ে প্রণতি গত কয়েেকবছর ধরে বাংলা তথা ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সে নিজেকে মেলে ধরছিলেন। নজরও কাড়ছিলেন প্রায় প্রতিটি প্রতিযোগিতায়। গত বছর লকডাউনের পর প্রণতির জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কোথায় সারবে অলিম্পিক প্রস্তুতি। কারন আনলক প্রক্রিয়া থেকে দ্বিতীয় ডেউয়ের কারনে কার্যত লকডাউননের মাঝে মাত্র ২ সপ্তাহের জন্য উন্নতি পরিকাঠামোয় জিমন্যাস্টিক্স অনুশীলন সেরেছেন তিনি।

কিভাবে সারছিলেন তবে অলিম্পিকের অনুশীলন? প্রণতির কথায়, “বাড়ির ছাদে কিছু বেসিক ড্রিল করতাম। টেবিল ও কিছু বক্স নিয়ে জিমন্যাস্টিক্সের প্রাথমিক ট্রেনিংগুলো সারতাম। বাড়িতে থাকার ফলে বাড়ছিল ওজন।” এইভাবে হয় অলিম্পিক অনুশীলন? প্রণতি জানান, “তাই জন্য গতবছর ডিসেম্বরে ফের কলকাতায় ফিরে আসি।আত্মীয়দের বাড়িতে থাকা শুরু করি। কোচ লক্ষ্ণণ শর্মার ব্যবস্থাপনায়, স্থানীয় ক্লাবগুলিতে ফিটনেস ও বেসিক ট্রেনিং শুরু করি।”

কিন্তু তাতেও কি টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি সম্ভব? কলকাতার সাইতে এই বছরের গোড়ায় থাকা শুরু করলেও, ফের কার্যত লকডাউননে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তালা ঝোলায়, বিপাকে পড়েন প্রণতি। সাই কলকাতার কাছে আবেদন করেন, অলিম্পিকের জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, তার ব্যবস্থার জন্য। প্রণতির আবেদনে সাড়া দিল সাই কলকাতা। বিশেষ অনুমতিতে তাঁকে সাইয়ের কমপ্লেক্সে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দিল কর্তৃপক্ষ।

অবশেষে আশ্বস্ত প্রণতি জানান, ” গোটা সাই কমপ্লেক্সে থাকি একমাত্র আমি। আমার ফিজিওথেরাপিস্ট ম্যাডাম ও ম্য়াসিওর থাকেন আমার সঙ্গে।সাইতে থাকছেন আমার কোচ লক্ষ্মণ শর্মা।”

অচেনা সাই. খাঁখা করছে। বন্ধুরা নেই। সেই মন খারাপের মধ্যেও চলছে প্রণতির লক্ষ্যভেদের স্বপ্ন।

Next Article