AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saina Nehwal: ‘খেলায় এত ব্যস্ত’, স্বামী পারুপল্লী কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সাইনা নেহওয়াল বলছেন…

Saina Nehwal on Parupalli Kashyap: ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের দুই তারকা। আরও একটা পরিচয়, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। ভালোবেসেই সংসার গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে কি খুনসুঁটি, ঝগড়া হয় না? সে সময় কী ব্যবহার করেন! মানে যদি প্রয়োজন পড়ে...। অনেকের মতো বেলন নাকি ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট? এমন মজার প্রশ্নে আরও মজার তথ্য উঠে এল। কী বললেন সাইনা নেহওয়াল?

Saina Nehwal: 'খেলায় এত ব্যস্ত', স্বামী পারুপল্লী কাশ্যপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সাইনা নেহওয়াল বলছেন...
Image Credit: INSTAGRAM
| Updated on: Aug 12, 2024 | 2:39 AM
Share

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুনসুঁটি হবে না, তাও আবার হয় নাকি! ভালোবাসার বড় অংশ ‘ঝগড়া’। তবে সেটা অবশ্যই সাময়িক। ব্যাডমিন্টনের একটা গেমের মতো। সেটা ম্যাচের মতো না হলেই হল। হঠাৎ ব্যাডমিন্টন প্রসঙ্গই কেন? যাঁদের ভালোবাসা এবং খুনসুঁটি নিয়ে কথা হতে চলেছে, তাঁরা তো এই খেলার জন্যই পরিচিত মুখ। সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লী কাশ্যপ। ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের দুই তারকা। আরও একটা পরিচয়, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। ভালোবেসেই সংসার গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে কি খুনসুঁটি, ঝগড়া হয় না? সে সময় কী ব্যবহার করেন! মানে যদি প্রয়োজন পড়ে…। অনেকের মতো বেলন নাকি ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট? এমন মজার প্রশ্নে আরও মজার তথ্য উঠে এল। কী বললেন সাইনা নেহওয়াল?

ভারতের প্রথম মহিলা শাটলার হিসেবে অলিম্পিকে পদক জয়ের নজির গড়েছিলেন সাইনা নেহওয়ালই। এরপর পিভি সিন্ধু মহিলাদের ব্যাডমিন্টনের ব্যাটন বয়েছেন। তেমনই পুরুষদের ব্যাডমিন্টনের ক্ষেত্রে অতি পরিচিত মুখ পারুপল্লী কাশ্যপ, কিদম্বি শ্রীকান্তরা। ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে সংসারের সুন্দর বাঁধনে সাইনা নেহওয়াল ও পারুপল্লী কাশ্যপ। ২০১৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। সম্প্রতি একটি শো-তে নানা বিষয়েই কথা বলেছেন সাইনা। সেখানেই উঠে এসেছে পারুপল্লীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কেমিস্ট্রিও।

ব্যাডমিন্টন খেলার সঙ্গে কী ভাবে জুড়লেন সাইনা, সেই কথাই তুলে ধরেন। সাইনা বলেন, ‘আমার বাবা সায়েন্টিস্ট। তাঁর প্রোমোশন হয়। আমরা তখন হরিয়ানা থেকে হায়দরাবাদ চলে আসি। আমি অনেকটাই ছোট তখন। ওই বয়সে অনেকটাই কষ্ট পেয়েছি। সব বন্ধু ওখানেই ছিল। হায়দরাবাদে এসে কী হবে, সেই নিয়ে ভাবনা ছিল। হিসারেও আমি খেলাধুলোয় মেতে থাকতাম। এখানে আসার পরও পড়াশোনার বাইরে নানা স্পোর্টসে যুক্ত থেকেছি। হিসারে আমি ক্যারাটে শিখতাম। আমার ব্রাউন বেল্টও রয়েছে। আর একটা স্টেপ পেরোলেই ব্ল্যাক বেল্ট হতে পারতাম। ওই সময়টা কঠিন ছিল। কোচেরাও আমার পারফরম্যান্সে খুশি ছিল, বাড়িতে এসেও বুঝিয়েছিল। আর ওটা কন্টিটিউ করা হয়নি।’

সঞ্চালক প্রশ্ন ছুড়ে দেন, হয়তো এই কারণেই কাশ্যপ প্রোপোজ করার আগে ভেবেছিল! এক গাল হেসে সাইনা খোলসা করেন, ‘সৌভাগ্যবশত আমি যখন ওর সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করি, ও জানতো না যে ক্যারাটে শিখেছি। পরে জেনেছিল। আমার অ্যাটিটিউডও একটু মারকুটে ছিল। সারাক্ষণ প্রতিদ্বন্দ্বীতায় লেগে থাকতাম।’ এরপরই সেই মোক্ষম প্রশ্ন। বেলন, ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট নাকি ক্যারাটে স্কিল!

সাইনা হেসে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ওরকম ঝগড়া হয়ই না। আসলে আমাদের ঝগড়াটা মুখেই। কারণ, সারাদিন খেলায় ব্যস্ত থাকি। এনার্জি থাকে না। আমরা দু-জনেই ল্যাধ খাই। মুখের লড়াইও কম বিপজ্জনক নয়। কখন কী বলে দিই। বেলনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আধঘণ্টার মধ্যে ভুলেও যাই, কী নিয়ে ঝগড়া করছিলাম। আসলে সারাক্ষণ আমাদের মধ্যে খেলা নিয়েই এত বেশি আলোচনা হয়, বাকি কিছু মাথায় থাকে না।’