শটটা মেরেই যেন বুঝেছিলেন, সামান্য ভুল হয়ে গেল। মুখে একটা হাসি। তবে সেটায় লুকিয়ে কিছুটা হতাশা। মাত্র পয়েন্ট .১ এর পার্থক্য। নয়তো রুপোর পদকটাও হতে পারত। কোরিয়ান দুই প্রতিপক্ষ। শুরু থেকেই দাপট বজায় রাখেন। মাঝে বেশ কয়েকবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন মনু ভাকের। ব্রোঞ্জ হলেও ইতিহাস। অলিম্পিক শুটিংয়ে ভারতের প্রথম মহিলা, ১২ বছর পর শুটিংয়ে প্রথম পদক। মেরি কমকে দেখে হতে চেয়েছিলেন বক্সার। পরবর্তীতে শুটিংকে বেছে নেন মনু ভাকের। ৯টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ পদক রয়েছে। ফলে অভিজ্ঞতা কম নয় তাঁর। এ বার ক্যাবিনেটে যোগ হল অলিম্পিক পদক।
মনু ভাকের প্রথম পাঁচ শটের সিরিজের পর ৫০.৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী ও ইয়ে জিন প্রথমে ছিলেন। দ্বিতীয় পাঁচ শটের সিরিজের পর মনু ভাকেরের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১০০.৩। প্রথম ১০ শটের পর তৃতীয় স্থানে থাকেন মনু ভাকের। এরপর সিঙ্গল শট। মনুর পয়েন্ট দাঁড়ায় ১১০.৮। হাঙ্গেরির ভেরোনিকো মায়োর প্রথম ছিটকে যান পদকের দৌড় থেকে। মনু ক্রমশ উন্নতি করেন। উঠে আসেন দ্বিতীয় স্থানে। ১৩ শটের পর মনু ১৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে।
১৪ নম্বর শটের পর সপ্তম স্থান থেকে ছিটকে যান তুরস্কের ইলাইদা তারহান। ১৪০.৮ পয়েন্ট নিয়ে মনু পিছিয়ে যান তিন নম্বরে। ১৫ শটের পর ১৫০.৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে মনু। টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী চিনের ঝিয়াং ব়্যাং ছিচকে যান। ১৬ শটের পর মনু ১৬০.৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই। প্রথম দুটি স্থান দখল করে ছিল কোরিয়ান প্রতিদ্বন্দ্বী। ১৭ শটের পর মনু ১৭১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে। ১৮ শটের পর চিনের লি ইউ ছিটকে যান। মনু ভাকের ১৮১.২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই থাকেন। ১৯ নম্বর শটের পর তিন নম্বর জায়গা ধরে রাখেন মনু ভাকের। তাঁর পয়েন্ট ১৯১.৩। চাপের মুখে ২০ নম্বর শটে দুর্দান্ত ১০ পয়েন্ট। তখনই ব্রোঞ্জ নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপরও সুযোগ ছিল ২১ নম্বর শটে পদকের রং বদলের। ২১ শটের পর দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন মনু ভাকের। ২১১.৪ পয়েন্ট ছিল তাঁর। এরপর ১০.৩ পয়েন্ট। পয়েন্ট ১-এর পার্থক্যে তৃতীয় স্থানে নেমে যান। ব্রোঞ্জ পদকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মনু ভাকেরকে।