প্যারিস অলিম্পিকে ভারত কতগুলি সোনার পদক জিততে পারেন? এও আবার আগে থেকে বলা যায় নাকি! সত্যিই তাই। আগে থেকে কখনও বলা যায় না। তবে প্রত্যাশা তো থাকেই। যেমন রয়েছে জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়াকে নিয়ে। টোকিও অলিম্পিকে সোনার পদক জিতেছেন ভারতের এই তরুণ জ্যাভলিন থ্রোয়ার। একে একে বাদ রাখেননি ভারতের কোনও অপূর্ণ ইচ্ছাই। জিতেছেন ডায়মন্ড, বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপ। স্বাভাবিক ভাবেই এ বারও অলিম্পিকে তাঁর উপর বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে। বিমানযাত্রার ধকল, ট্রেনিং, উদ্বেগ— এত কিছু সামলে পদক পেতে গেলে কী করতে হবে?
আর দশটা সাধারণ মানুষের মতোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঘুম। বরং, অ্যাথলিটদের কাছে আরও বেশি প্রয়োজনীয়। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে সব প্রচেষ্টাই বৃথা যেতে পারে। অলিম্পিকে যাতে ভারতীয় অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে এমন কিছু না হয় সে বিষয়ে কড়া নজর ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার। প্যারিসে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় অ্যাথলিটদের জন্য তাই থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু হয় অনেক আগেই। মাঝে যত প্রতিযোগিতাই থাক না কেন, প্রত্যেক অ্যাথলিটের অপেক্ষা থাকে অলিম্পিকের। চার বছরে একবার সুযোগ আসে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যাশার বিরাট চাপ থাকে। সঙ্গে থাকে পারফরম্যান্সের চাপও। এর জন্যই প্রয়োজন নিশ্চিন্তে ঘুম। এতকিছুর মধ্যে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। অলিম্পিকে ভারতীয় অ্যাথলিটরা যাতে সেটুকু পেতে পারেন, তার জন্য অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে অলিম্পিক সংস্থা। ডাঃ মনিকা শর্মা প্যারিস যাচ্ছেন ভারতীয় অ্যাথলিটদের সঙ্গে। তিনিই নিশ্চিত করবেন, যাতে ঘুম ঠিকঠাক হয় নীরজ চোপড়াদের।
ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে এই প্রথম এমন ভাবনা। অলিম্পিক অ্য়াথলিটদের পর্যাপ্ত ঘুম সুনিশ্চিত করতে প্য়ারিস পাঠানো হচ্ছে ডাঃ মনিকা শর্মাকে। তিনি ‘ঘুম বিশারদ’। তিনি এবং তাঁর টিম সমস্ত বিষয়টা দেখাশোনা করবেন। ডাঃ মনিকা শর্মা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘লক্ষ্য থাকবে এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে ঘুমে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। অলিম্পিক ভিলেজে পরিবেশ উদ্বেগের জায়গাও বলা যায়। ঘুমের জন্য যা আদর্শ নয়। সেই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে অ্যাথলিটরা যাতে মানিয়ে নিতে পারে, সেই বিষয়টাই দেখব আমরা।’