টোকিওঃ প্রায় তিরিশ বছরের যাত্রা শেষ হল টোকিওতে এসে। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিক থেকে শুরু হয়েছিল যা। ৪৫ বছরে অবসর নিলেন উজবেকিস্তানের জিমন্যাস্ট ওকসানা চুসোতভিতিনা। ভল্টে ১৪ নম্বরে শেষ করলেন তিনি। ফাইনালে ওঠা হল না তাঁর। তবু, তিনি টোকিও অলিম্পিকের আসল নায়ক! চোখে জলে ওকসানাকে বিদায় জানাল বিশ্ব ক্রীড়ামহল।
ওকসানার এই দীর্ঘ অলিম্পিক যাত্রা অনেকটা ভারতের লিয়েন্ডার পেজের মতো। ১৯৯২ সাল থেকে লিয়েন্ডারও অলিম্পিক খেলেছেন। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকের পর আর এ বার টিমে নেই তিনি। ওকসানা অবশ্য আরও একধাপ এগিয়েছেন। ১৯৯২ সালে টিম ইভেন্ট থেকে পদক জিতেছিলেন তিনি। পরের সাতটা অলিম্পিকে খোঁজ চালিয়েছেন পদকের। তাঁর এই চেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সারা বিশ্ব।
২০২০ সালে দশকে সেরা অ্যাথলিট নির্বাচিত হয়েছিলেন উজবেকিস্তানের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ১১টা পদক পয়েছেন তিনি। সাফল্য তাঁকে টেনে এনেছে এতটা পথ। শেষ অলিম্পিকের পর ওকসানা বলেছেন, ‘আমি চোখের জল সামলাতে পারছি না। এতটা পথ আমার পক্ষে আসাই হত না, যদি না অনেকে পাশে দাঁড়াত। আমি এখনও টিকে রয়েছি, এটাই তো সবচেয়ে আনন্দের, তৃপ্তির। কোনও চোট ছাড়া আজও জিমন্যাস্টিকস ফ্লোরে দাঁড়িয়ে রয়েছি। এখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছি।’
অলিম্পিকের ইতিহাসে ওকসানা সত্যিই একটা যুগ। প্রেরণার নাম। উজবেকিস্তানের বুখারাতে জন্ম তাঁর। ঝড় তাঁর জীবনেও কম আসেনি। ২০০২ সালে তাঁর ছেলের জন্মের পর লিউকোমিয়া ধরা পড়ে। চিকিত্সার জন্য জার্মানিতে চলে যান তিনি। ছেলের চিকিত্সার জন্য বাধ্য হতেন নানা টুর্নামেন্টে নামতে। যাতে অর্থের অভাবে চিকিত্সা না আটকে যায়। ওকসানা বলেছেন, ‘ওই সময় ছেলেকে নিয়ে এতটাই চাপে থাকতাম যে, সেরা দেওয়ার মতো মানসিকতাই থাকত না। তবু সবাই পাশে দাঁড়িয়েছিল। মোটিভেট করেছিল। যাতে আমি সেরাটা দিতে পারি।
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০