টোকিও: ৯ দিন পর শুরু অলিম্পিক(OLYMPIC)। তার আগে আবার বিতর্কে টোকিও (TOKYO)গেমস। অলিম্পিকের জন্য বরাদ্দ এক হোটেলে(HOTEL) করোনায় (COVID19)বিধ্বস্ত। ওই হোটেলে আবার ব্রাজিলের(BRAZIL) ৩১ জনের অলিম্পিক টিমও রয়েছে।
টোকিও দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর হামামাত্সুর হোটেলও অলিম্পিকের বায়ো বাবলের আওতায় রয়েছে। ওই হোটেলেরই সাতজন কর্মীর কোভিড টেস্ট পজিটিভ এসেছে। যা রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে আয়োজকদের। যে প্রসঙ্গ বারবার উঠেছে, তাই আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। অলিম্পিকের সময় করোনা ঠেকাতে পারবে তো জাপান সরকার? তবে, যা খবর, কোয়ারান্টিনে থাকা ব্রাজিলিয়ান টিমের কেউই সংক্রমিত নন।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখ অবশেষে পৌঁছেছেন জাপানের। প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগার সঙ্গে বৈঠকের পর বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক অলিম্পিকের জন্য তৈরি থাকতে হবে সবাইকে। গত কয়েক বছরে প্রতিবন্ধকার মধ্যে দিয়ে গিয়েও অলিম্পিকের মতো একটা গেমস আয়োজন করতে চলেছে। এর থেকে বড় ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না।’
মুশকিল হচ্ছে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো প্রস্তুতি আয়োজকদের আছে কিনা, তা নিয়ে কেউই নিশ্চিত নন। হামামাত্সুর হোটেলের কর্মীদের করোনা সংক্রমণের খবর তাও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ দিকে, যদি বুধবারের নথিতে চোখ বোলানো হয়, তা হলে দেখা যাবে গত ১৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে এ দিনই। ১২শো মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও আয়োজকদের যুক্তি, অলিম্পিকের সময়ও লকডাউন থাকবে টোকিও শহরে। ফলে, অ্যাথলিটদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। অবশ্য ওই হোটেলের ঘটনাকে খুব বেশি গুরুত্বও দেওয়া হচ্ছে না। এক কর্তা ইওশিনবু সাওয়াদা বলছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিয়মিত কোভিড পরীক্ষা করা হবে। হোটেলের কর্মীরাও থাকবেন সেই নিয়মের মধ্যে। যাতে কোনও ভাবেই করোনা সমস্যায় ফেলে।’