TOKYO OLYMPICS 2020 : স্টিক বদলেই দলের সেরা ড্র্যাগফ্লিকার গুরজিত

TV9 Bangla Digital | Edited By: raktim ghosh

Aug 02, 2021 | 12:57 PM

ডাচ কোচ জোর্ড মারিন গুরজিতকে দেখে বলেন, "তুমি এত হাল্কা স্টিকে খেলো কেন? এত হাল্কা স্টিকে তো শটে জোর পাবেনা।" হল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার সময় কোচ জোর্ড মারিন তাঁকে উপদেশ দেন তুমি ভারী স্টিকে খেলো।

TOKYO OLYMPICS 2020 : স্টিক বদলেই দলের সেরা ড্র্যাগফ্লিকার গুরজিত
গোল করে সুপারস্টার গুরজিত

Follow Us

টোকিওঃ ইতিহাস। সপ্তাহের প্রথম দিনই অলিম্পিকের মঞ্চে ইতিহাস গড়ল ভারতীয় মহিলা হকি দল। প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস। তাও আবার শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মত শক্ত প্রতিপক্ষকে হারিয়ে। একবারই সুযোগ পেয়েছিল ভারত পেনাল্টি কর্নারের। আর সেখান থেকেই গোল গুরজিত কৌরের। ড্র্যাগফ্লিকার গুরজিত এখন ভাসছেন আবেগে।

আর মাত্র একধাপ দূরে পদকের থেকে।শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পর ম্যাচের নায়িকা গুরজিত কৌর জানান, “দারুণ,দারুণ খুশি। প্রতিদিন আমরা কঠিন পরিশ্রম করেছি। বিশেষ করে শেষ দুদিন , আরও কঠোরতম অনুশীলন করেছিলাম আমরা।আমরা একটা সুখী পরিবার। এখন আমরা সেমিফাইনালে। ভারত গর্বিত।দলের প্রত্যেকে সহযোগিতা করছে প্রত্যেককে।” তাঁর গোলেই ভারত সেমিফাইনালে, কতটা উত্তেজিত তিনি? খুশির জোয়ারে ভেসে চলা গুরজিত জানান, “এটা আমার কাছে একটা স্পেশ্যাল দিন।শেষ কয়েকবছর হাড়ভাঙা খাটুনির ফল পেলাম আজ । আমরা আজ মাত্র ১টি গোল করলাম। আর সেটাকে ডিফেন্ড করে গেলাম পুরোটা সময় জুড়ে। অনবদ্য।দেশ আমাদের পাশে যেভাবে রয়েছে, তারজন্য ধন্যবাদ।”

গুরজিতের উত্থানটাও বেশ চমকপ্রদ।২০১৪ সালে প্রথমবার ভারতীয় দলে সুযোগ পেলেও জমি তৈরি করতে পারছিলেননা। ২০১৭ সালে জমি তৈরি করলেও একজন ডিফেন্ডার হিসেবেই খেলছিলেন গুরজিত। এরপরেই মহিলা হকি দলের নতুন কোচের হাতে পরে। ডাচ কোচ জোর্ড মারিন গুরজিতকে দেখে বলেন, “তুমি এত হাল্কা স্টিকে খেলো কেন? এত হাল্কা স্টিকে তো শটে জোর পাবেনা।” হল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার সময় কোচ জোর্ড মারিন তাঁকে উপদেশ দেন তুমি ভারী স্টিকে খেলো। তাঁকে দেখেই কোচ মারিনের মনে হয় গুরজিতের মধ্যে রয়েছে ভাল ড্র্যাগফ্লিকার হওয়ার মশলা। কোচ মারিনের উপদেশ মেনে ভারী স্টিক দিয়ে ড্র্যাগফ্লিকিং শুরু করেন গুরজিত কৌর। যার ফল পেলেন হাতে নাতে। শট হল আরও জোরদার।

২০১৭ সালে এশিয়া কাপে স্টিক বদলে প্রথম সাফল্য পান গুরজিত। টুর্নামেন্টে ৮টি গোল করেন তিনি। যার মধ্যে ৭টিই এসেছেন পেনাল্টি কর্নার থেকে। একটি হ্যাটট্রিক সহ। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এখানেই শেষ নয়, কোচ জোর্ড মারিন গুরজিতের ড্র্যাগফ্লিকিং আরও উন্নত করতে পরাপাঠান ড্র্যাগফ্লিকে স্পেশ্যালিস্টের কাছে। তিনিও একজন ডাচ কোচ। নাম টুন সিপম্যান। তার থেকেই ড্র্যাগফ্লিকিংয়ের উন্নততর ট্রেনিং নেন গুরজিত।

সেই প্রশিক্ষণ আর কঠোর পরিশ্রম। যার মিলিত ফল আজকে পেনাল্টি কর্নার থকে গোল করে ভারতকে ইতিহাসে জায়গা করে দেন গুরজিত।

 

       অলিম্পিকের আরও খবর জানতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০

 

Next Article