Tokyo Paralympics 2020: পদকের স্বপ্নে টোকিও প্যারালিম্পিকে আইএএস অফিসার সুহাস

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Aug 18, 2021 | 3:41 PM

নয়ডার জেলা শাসকের ব্যাডমিন্টন কোর্টে উঠে আসা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া, টোকিওর টিকিট পাওয়া--- উত্থানের অসাধারণ গল্প।

Tokyo Paralympics 2020: পদকের স্বপ্নে টোকিও প্যারালিম্পিকে আইএএস অফিসার সুহাস
Tokyo Paralympics 2020: পদকের স্বপ্নে টোকিও প্যারালিম্পিকে আইএএস অফিসার সুহাস এল ইয়াথিরাজ (ফাইল চিত্র)

Follow Us

নয়াদিল্লি: এই প্রথম কোনও ভারতীয় আমলাকে দেখা যাবে প্যারালিম্পিক (Paralympics) গেমসে। আইএএস অফিসার সুহাস এল ইয়াথিরাজ (Suhas L Yathiraj) নামবেন টোকিওতে, পদকের স্বপ্ন নিয়ে। নয়ডার জেলা শাসকের ব্যাডমিন্টন কোর্টে উঠে আসা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া, টোকিওর টিকিট পাওয়া— উত্থানের অসাধারণ গল্প।

চিরকাল পড়াশোনাতেই নজর ছিল তাঁর। পরিবার চেয়েছিল ছেলে ডাক্তার হোক। এমবিবিএস পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি চাইতেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও কোথাও যেন একটা কমতি মনে হচ্ছিল সুহাসের। তখন সিভিল সার্ভিসের প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায় তাঁর। আর তারপর ফের পড়াশোনা করে তিনি হয়ে যান আইএএস অফিসার। যদিও খেলাধূলা সবসময়ই ছিল সুহাসের জীবনের একটা বিশেষ অংশ। পরবর্তীকালে পেশাগতভাবে খেলতেও শুরু করেন তিনি।

টোকিও প্যারালিম্পিকে (Tokyo Paralympics) অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সুহাস বলেন, “আমি আমার সফরের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ আমি যখন পড়াশোনা করতাম তখন আমি জেলা কালেক্টর হওয়ার কথা ভাবতাম না। এটা আমার কাথে ছিল একটা স্বপ্নের মতো। তারপর আমি সিভিল সার্ভিসে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। এখন প্যারালিম্পিকে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “খেলাধূলায় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমি সকলকে বলতে চাই, বিশেষ করে তরুণদের যে জীবনে তুমি যেটা করতে চাও সেটার চেষ্টা চালিয়ে যাও। কখনও আমরা জিতি আবার কখনও হেরে যাই। কিন্তু তা বলে কখনও হাল ছেড়ো না।”

তিনি নিজের কথা উল্লেখ করে তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি সাধারণ স্কুল, কলেজে পড়েছি। তারপর আমি সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলাম। আর এখন আমি প্যারালিম্পিকে যাচ্ছি। তা হলে তোমরা কেন পারবে না। তোমরাও চেষ্টা করলে এটা করতে পারবে।”

শত ব্যস্ততার মাঝেই নিজে চাইলেই সব কাজের জন্য সময় বের করা যায়। তিনি বলেন, “আমি আমরা কাজ ভালোবাসি, তাই আমি ব্যাডমিন্টন অনুশীলনের সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ি না। ব্যাডমিন্টন আমার কাছে একটা আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মতো। এর মাধ্যমে আমি ধ্যান করার মতো অনুভূতি পাই। সকলেই সারাদিনে ২৪ ঘণ্টা সময় পায়। কেউ কেউ পুরোটা কাজে লাগায়, কেউ আবার বাহানা দেয়।” সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে এমনটাই মনে করেন সুহাস। নিজে যেমন অলিম্পিকে যাচ্ছেন পদক জয়ের স্বপ্ন নিয়ে, তরুণদেরও উৎসাহিত করতে কার্পণ্য করছেন না এই ভারতীয় আমলা।

Next Article