Exclusive Tokyo Olympics 2020: কলকাতা থেকেই অলিম্পিকের টার্গেট সেট করেছিলাম: চানুর কোচ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Jul 24, 2021 | 7:44 PM

Mirabai Chanu: ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই শহর থেকেই টোকিও অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয়েছিল রুপোর মেয়ের।

Exclusive Tokyo Olympics 2020: কলকাতা থেকেই অলিম্পিকের টার্গেট সেট করেছিলাম: চানুর কোচ
Exclusive Tokyo Olympics 2020: কলকাতা থেকেই অলিম্পিকের টার্গেট সেট করেছিলাম: চানুর কোচ (সৌজন্যে-মীরাবাই চানু টুইটার)

Follow Us

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

শনিবার দুপুরের পর মীরাবাঈ চানু (Mirabai Chanu) নামটা আর নতুন নয় ভারতীয় ক্রীড়াদুনিয়ায়। টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ভারোত্তোলনে (Weightlifting) ৪৯ কেজি বিভাগে রুপো জিতে দেশকে গর্বিত করলেন মণিপুরের মেয়ে। চানুর এই সাফল্যের জুড়ে আছে কলকাতা কানেকশন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই শহর থেকেই টোকিও অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয়েছিল রুপোর মেয়ের।

ছাত্রীর রুপো জেতার দিনে তাই কলকাতাকে ভুলতে পারছেন না কোচ বিজয় শর্মা (Vijay Sharma)। অলিম্পিকে পদকজয়ের পরই চানু আর তাঁর কোচ বিজয় শর্মাকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে। চূড়ান্ত ব্যস্ততা। পদকজয়ের পরই গেমসের নিয়ম মেনে ডোপ পরীক্ষা করতে গেলেন চানু। ততক্ষণে একের পর এক আসছে কোচ বিজয় শর্মার মোবাইলে। ডোপ পরীক্ষা শেষে ভিলেজে ফিরতেও ফোনের শেষ নেই। টোকিওতে থাকা সাংবাদিকদের ভিড় তো আছেই।

চূড়ান্ত ব্যস্ততার মাঝেই শনি দুপুরে টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কলে কিছুক্ষণ সময় দিলেন চানুর কোচ বিজয় শর্মা। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘কলকাতায় জাতীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই আমরা একটা নতুন টার্গেট সেট করেছিলাম। ওই টুর্নামেন্ট থেকেই আমাদের একপ্রকার অলিম্পিকের যাত্রা শুরু হয়েছিল। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হলে সবসময়ই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তারপর ওখানে নিজেরই পুরনো রেকর্ড ভেঙেছিল। আর সেটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেক সাহায্য করেছিল।’

কলকাতায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে স্ন্যাচ এবং ক্লিন ও জার্ক মিলিয়ে মোট ২০৩ কেজি ভার তুলেছিলেন মীরাবাঈ চানু। টোকিওয় তুললেন সবমিলিয়ে তুললেন ২০২ কেজি। ছাত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিজয় শর্মা বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে চানুর দায়িত্ব নিয়েছি। আজ লক্ষ্য পূরণ হল। আমিও কোচ হিসেবে টোকিওয় দেশকে প্রথম পদক জেতালাম। তবে আমার কৃতিত্বের চেয়েও আজ ওর কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি। এই সাফল্যের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে ও। ২১ বছর বাদে অলিম্পিকে ভারোত্তোলন থেকে দেশে পদক এল। আশা করব, ভারতীয় ক্রীড়া আঙিনায় ভারোত্তোলন এ বার আরও প্রচারের আলোয় আসবে।’

অলিম্পিকে পদক জেতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও দূরে থাকতেন চানু। মোবাইলে শুধু বাড়ির লোকের সঙ্গেই কথা বলতেন। রুপোর মেয়ের আজ সোনালী সাফল্যে অলিম্পিকে উজ্জ্বল হীরে হয়ে থাকল ভারত।

অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন: টোকিও অলিম্পিক২০২০

Next Article