টোকিও: অলিম্পিক (Olympics) হতাশা এবারও কাটল না নোভাক জকোভিচের (Novak Djokovic)। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। সেই রং আর বদলাতে পরালেন না জোকার। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা এবারও ছুঁতে পারলেন না অলিম্পিকে সোনা জেতার স্বপ্ন। আলেকজান্ডার জেরেভের কাছে হেরেছিলেন সেমিফাইনালে। ব্রোঞ্জ ম্যাচেও হেরে বসলেন পাবলো বুস্তার (Pablo Carreno Busta) কাছে। সব মিলিয়ে চারটে অলিম্পিকে খেলতে দেখা গেল তাঁকে। কোনও বারই সোনার হাসি হাসতে পারেল না জোকার। কখনও নাদাল, কখনও মারেরা টপকে গিয়েছেন জকোভিচকে।
পাবলোর বিরুদ্ধে ব্রোঞ্জ ম্যাচে প্রথম সেটটা হেরে গিয়েছিলেন জোকার। দ্বিতীয় সেটে ৭-৬(৬) জেতেন। তৃতীয় সেটে আবার হারতে হল ৩-৬ য়ে। ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না জোকার। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল জেরেভের কাছে হারটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। উল্টো দিকে পাবলো কিন্তু মোটিভেটেড ছিলেন। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার বিরুদ্ধে নামলেও ফোকাস হারাননি, উল্টে শুরু থেকে আগ্রাসী টেনিস খেলছিলেন। ১-১ হওয়ার পরও স্পেনের পাবলো তৃতীয় সেটে দুরন্ত লড়াই করেছেন। ব্রোঞ্জ জয়ের পর যেভাবে সেলিব্রেট করেছেন, তাতে নাদালের দেশের টেনিস প্লেয়ার এই পদকের অপেক্ষায় ছিলেন।
একের পর এক তারকা অলিম্পিক থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তার ওপর অ্যাশলি বার্টি, নাওমি ওসাকারা শুরুতেই ছিটকে গিয়েছিলেন মেয়েদের সিঙ্গলস থেকে। একমাত্র জোকারই ছিলেন টেনিসের মুখ। তিনি সিঙ্গলসে হতাশ করলেও মিক্সড ডাবলসে ব্রোঞ্জ ম্যাচে নামবেন। তাতে যদি পদক জেতেন, আক্ষেপ কিছুটা কমবে।
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০