টোকিও: বিং জিয়াওয়ের (He Bing Jiao) বিরুদ্ধে ম্যাচ পয়েন্টটা পাওয়ার পর কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থবির হয়ে গিয়েছিলেন। বুঝতেই পারছিলেন না, আবার অলিম্পিক পদক পেয়েছেন।
রবিবার চ্যাম্পিয়ন হলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। সোমবার সকালে সেই পিভি সিন্ধু (PV Sindhu) কোচ পার্ক তে-সাংকে (Park Tae Sang) পাশে নিয়ে তুলে ধরলেন তাঁর টোকিও সফর। প্রথম ভারতীয় মেয়ে হিসেবে পর পর দুটো অলিম্পিক থেকে পদক পেয়েছেন সিন্ধু। যা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘রিওতে রুপো ছিল, এখানে ব্রোঞ্জ এল। আমি খুশি, সন্তুষ্ট, তৃপ্ত।’
তাই জু-র কাছে হারের পর ভেঙে পড়েছিলেন সিন্ধু। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ালেন কী ভাবে? কী ভাবে ব্রোঞ্জ ম্যাচের জন্য তৈরি করলেন নিজেকে? সিন্ধুর ব্যাখ্যা, ‘সেমিফাইনালে হারার পর আমার অত্যন্ত কষ্ট হয়েছিল। কেঁদে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার কোচ আর ফিজিও বলেছিলেন, অলিম্পিকটা এখনও শেষ হয়নি। আমি তখন বুঝতে পারছিলাম, সেমিফাইনাল হারের পর কি ভেঙে পড়া উচিত, নাকি পদক পাওয়ার আরও একটা সুযোগ পেয়ে আনন্দিত হব? ব্রোঞ্জ ম্যাচের সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বলেছিলাম, সেরাটা দিতেই হবে।’
বিং জিয়াওকে কার্যত দাঁড়াতে দেননি সিন্ধু। ২১-১৩, ২১-১৫তে জিতেছেন ম্যাচটা। ৫২ মিনিটের মধ্যে ম্যাচ জিতেছেন। আগ্রাসী সিন্ধুকেই দেখা গিয়েছে ব্রোঞ্জ ম্যাচে। সিন্ধু যা নিয়ে বলছেন, ‘ম্যাচ পয়েন্টটা না পাওয়া পর্যন্ত আমি থামতে চাইনি। কিন্তু ম্যাচটা জেতার পর আমি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিলাম। আমার কাছে ওটা একটা বিরাট মুহূর্ত ছিল। আমি কোচকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। ৫-৬ সেকেন্ড পর আমি চিত্কার করে উঠেছিলাম উল্লাসে।’
প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে এখন থেকেই ভাবনা চিন্তা করতে চান না ২৬ বছরের ভারতীয় শাটলার। বরং ব্রোঞ্জ পাওয়াটাকে উপভোগ করতে চান। সিন্ধুর কথায়, ‘প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে ভাবার অনেক সময় আছে। এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করতে চাই। আমি এই পদকটাকে আমার পরিবারকে উপহার দিতে চাই। ওদেরকে অনেন দিন দেখিনি।’
অলিম্পিক শুরুর আগে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সময় সিন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, গেমস থেকে ফিরে যেন আইসক্রিম খান। যে প্রসঙ্গে হাসতে হাসতে সিন্ধু বলেছেন, ‘কোন আইসক্রিম খাব, এখনও ঠিক করিনি। তবে আমার আইসক্রিম খেতে খুব ইচ্ছে করছে।’
অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০