TOKYO OLYMPICS 2020 : যৌন হেনস্থাই কি মানসিক অসুস্থতার আসল কারণ সিমোনে বাইলসের? 

TV9 Bangla Digital | Edited By: raktim ghosh

Jul 28, 2021 | 8:43 PM

সিমোনে বাইলস এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি এখনও। কিন্তু আমেরিকার প্রাক্তন জিমন্যাস্ট, যিনি এখন ফিটনেস ট্রেনার, সেই আন্দ্রেয়া ওরিস টুইট করে লিখেছেন, অনেকেই জানেন না, টোকিও যাওযার সময় বিমানে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন বাইলস।

TOKYO OLYMPICS 2020 : যৌন হেনস্থাই কি মানসিক অসুস্থতার আসল কারণ সিমোনে বাইলসের? 
মানসিক অবসাদের পেছনে লুকিয়ে কি যৌন নিগ্রহ?

Follow Us

টোকিওঃ সিমোনে বাইলসকে নিয়ে তুমুল আলোচনা টোকিও গেমসে। মেয়েদের টিম ইভেন্ট থেকে সরার পর ব্যক্তিগত ইভেন্ট অল-অ্যারাউন্ড থেকেও সরিয়ে নিলেন নিজেকে। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন? বাকি অলিম্পিকে তাঁকে দেখা যাবে কিনা, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার থেকে বড় ধোঁয়াশা, যে মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে কাটাতে হয়েছে ছেলেবেলা, তাই কি আবার ফিরে এসেছে?
  আন্তর্জাতিক খেলায় মানসিক স্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ব খেলায় এই ইস্যু নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তুলেছিলেন অজি ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাসখানেক আগে ফরাসি ওপেন থেকে এই একই ইস্যুতে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জাপানের নাওমি ওসাকা। তা নিয়ে তীব্র আলোচনা হয়েছিল। বাইলসের ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে। টিমের ডাক্তার লরি নাসেরের হাতে দীর্ঘদিন যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে বাইলসকে। বিপর্যয় কাটিয়ে আলোয় ফেরা আমেরিকান জিমন্যাস্ট আবার কি অন্ধকারে ফিরে গিয়েছেন?
   সিমোনে বাইলস এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি এখনও। কিন্তু আমেরিকার প্রাক্তন জিমন্যাস্ট, যিনি এখন ফিটনেস ট্রেনার, সেই আন্দ্রেয়া ওরিস টুইট করে লিখেছেন, অনেকেই জানেন না, টোকিও যাওযার সময় বিমানে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন বাইলস। অনেকে জানেন না, অতিমারি জুড়ে অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। অনেকের জীবনে এত বিপর্যয় আসেনি, যা মাত্র ২৪ বছর বয়সে সামলাতে হয়েছে বাইলসকে।
   একই সঙ্গে প্রশ্ন, ফ্লোরে ঠিক কী ঘটেছে বাইলসের সঙ্গে? মঙ্গলবার মেয়েদের টিম ইভেন্টের সময় আমেরিকান বাইলস একটা ভল্ট দেওয়ার পর হঠাত্‍ই নিজেকে সরিয়ে নেন। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। ঠিক কী হয়েছিলজানা যালনি। বুধবার সকালে অল-অ্যারাউন্ড থেকে সরে যাওয়ার পর আমেরিকান জিমন্যাস্টিকস সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে সিমোনে বাইলস সরে দাঁড়িয়েছেন। আপাতত কয়েক দিন ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। তার পর ঠিক করা হবে, বাকি ইভেন্টগুলোয় তিনি নামতে পারবেন কিনা।’
   সিমোনে বাইলসের আচমকাই সরে দাঁড়ানো আবার নতুন প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিশ্ব খেলাধুলোকে। মানসিক অবসাদ বা মানসিক বিপর্যয় কতটা প্রভাব ফেলে একজন প্লেয়ারের উপর? কাউকে ঘিরে প্রত্যাশার মাত্রা বাড়তে থাকলে চাপ বাড়ে। কিন্তু কেউ যদি নিজেকে বেশি প্রত্যাশী হন, তা হলে কি সেটাই তাঁকে ঠেলে দেয় বিপর্যয়ের দিকে?
                         অলিম্পিকের আরও খবর দেখতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০
Next Article