নয়াদিল্লিঃ বেনিয়মের পর বেনিয়ম। নির্বাসিত হলেন ভারতের তারকা কুস্তিগীর বিনেশ ফোগত। অলিম্পিকে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছেন। তার উপর একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ বিনেশ ফোগতের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে সাময়িক নির্বাসিত বিনেশ। কোনওরকম কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এই মহিলা কুস্তিগীর। আরেক মহিলা কুস্তিগীর সোনম মালিকের বিরুদ্ধেও উঠেছে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ।
বিনেশের বিরুদ্ধে ঠিক কি কি অভিযোগ?
অভিযোগ ১ঃ
তিনি ভারতীয় কুস্তি দলের সঙ্গে ভারত থেকে টোকিও আসেননি। নিজের ব্যক্তিগত কোচের সঙ্গে হাঙ্গেরি থেকে সোজা টোকিওতে এসেছেন। দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও করেননি। হাঙ্গেরি কুস্তি দলের সঙ্গে তিনি আসেন কোন যুক্তিতে?
অভিযোগ ২ঃ
ভারতের বাকি কুস্তিগীরদের সঙ্গে অনুশীলন করতে চাননি বিনেশ। একদিন তাঁর অনুশীলনের সময়ের সঙ্গে বাকি ভারতীয় কুস্তিগীরদের সময় এক হয়ে যায়।মাথা গরম করে সেদিন সেই অ্র্যারেনাতে অনুশীলন করতেই চাননি বিনেশ। বেরিয়ে যান।
অভিযোগ ৩ঃ
ভারতের বাকি মহিলা কুস্তিগীরদের রুমের পাশেই ছিল বিনেশ ফোগতের রুম। অংশু মালিকরা ভারত থেকে এসেছেন,তাই তাঁদের থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে তাঁর। এই কারন দেখিয়ে গেমস ভিলেজেই থাকেননি বিনেশ।
অভিযোগ ৪ঃ
একটি সংস্থা ভারতীয় কুস্তিদলকে স্পনসর করে। বিনেশ সেই সংস্থার জার্সি পড়তে চাননি। বরং তাঁর পছন্দমত অন্য সংস্থার জার্সি পড়ে নেমেছিলেন ম্যাটে।
অভিযোগের পর অভিযোগ। একজন তারকা কুস্তিগীরের এ হেন আচরণ একেবারেই ভালভাবে নেয়নি কুস্তি সংস্থা। টোকিও থেকে ফিরে কুস্তি দলের এক কর্তার রিপোর্টে এই সব অভিযোগই উল্লেখ ছিল।
শুধু মাত্র বিনেশ ফোগতই নন, আরেক মহিলা কুস্তিগীর সোনম মালিককে শোকজ করা হয়েছে তাঁর অনৈতিক আচরণের জন্য। নিয়ম হল, কোনও বিদেশে টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার সময় সংস্থার কাছ থেকে নিতে হয় নিজেদের পাসপোর্ট। প্রতিযোগী বা তাঁর পরিবাবের কাউকে সংস্থার অফিসে এসে নিয়ে যেতে হয় পাসপোর্ট। সোনম মালিক সেসবের ধার ধারেননি। বরং কুস্তি সংস্থার এক কর্তাকে নির্দেশ দেন, তাঁর বাড়িতে যেন পাসপোর্ট পৌঁছে যায়। এই আচরণের জন্য তাঁকেও শোকজ করা হয়েছে।
৭টি অলিম্পিক পদক পেয়ে দেশ য়খন উৎসবে মেতেছে, তখন বেরিয়ে এসেছে ভারতের অন্য প্রতিযোগীদের অন্ধকারের ছবিটা।