Lakshya Sen: হিথ ম্যাথুজকে সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন লক্ষ্য সেন, জানেন কে তিনি?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Aug 09, 2022 | 5:50 PM

সবচেয়ে বেশি রোমহর্ষক মুহূর্ত? সোনা জয়ের পর পোডিয়ামে পিভি সিন্ধু। জাতীয় সঙ্গীত বাজছে।

Lakshya Sen: হিথ ম্যাথুজকে সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন লক্ষ্য সেন, জানেন কে তিনি?
Image Credit source: TWITTER

Follow Us

নয়াদিল্লি : এত কম বয়সে অনেক সাফল্য। মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি লক্ষ্য সেনের। বড় মঞ্চেও চেষ্টায় খামতি থাকে না, হয়তো সে কারণেই। সোনার পদক। কমনওয়েলথ গেমসের মতো বড় মঞ্চে। স্বপ্নের সফরের সওয়ারি তরুণ ভারতীয় শাটলার লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিলেন। বিশ্বের এক নম্বরের কাছে হারে রুপো। বার্মিংহ্যাম গেমসে (Commonwealth Games) মিক্সড ইভেন্টে রুপো। সিঙ্গলসে সোনার পদক গলায় পরেছেন। এ বছর দেশের হয়ে ঐতিহাসিক থমাস কাপ জয়েও বড় ভূমিকা ছিল লক্ষ্য সেনের। এ বছর আরও একঝাঁক পদক পদক জিতেছেন। তেমনই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় না খেলারও সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তরুণ লক্ষ্য সেনকে। বাধ্য হয়েছিলেন বলা ভালো। কাঁধের চোটে ভুগছিলেন লক্ষ্য। কমনওয়েলথ গেমসে যা হয়তো বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারত তাঁর সামনে। স্বপ্নের সফরে তাঁকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন ফিজিওথেরাপিস্ট হিথ ম্যাথুজ (Heath Mathews)। কমনওয়েলথ গেমসেও সঙ্গে ছিলেন। সরকারের সমর্থন না পেলে হিথ ম্যাথুজকে রাখতে পারতেন না লক্ষ্য। হয়তো তাঁর লক্ষ্য-পূরণেও সমস্যা হতে পারত।

বার্মিংহ্যাম থেকে ফিরে ফিজিওথেরাপিস্ট হিথ ম্যাথুজ এবং সরকারকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না লক্ষ্য। কমনওয়েলথ গেমসের প্রস্তুতিতে কতটা সমস্যায় পড়েছিলেন, তা নিয়েও লক্ষ্য বলছেন, ‘সরকারের টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিমকে (টপস) কৃতিত্ব দিতেই হবে। অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট হিথ ম্যাথুজ সঙ্গে রাখতে পারায় গেমসের আগে এবং গেমস চলাকালীন ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। তাঁর অভিজ্ঞতার জন্যই প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ, হিথ ম্যাথুজকে বার্মিংহ্যামে আমার সঙ্গে যেতে দিয়েছে। এ বছর বেশ কিছু টুর্নামেন্টে অংশ নিইনি। এই বিরতি গুলো ফিটনেস ঠিক রাখতে সাহায্য করেছে। আশা করছি, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও এই ছন্দ ধরে রাখতে পারব।’

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তর এবং মিসন অলিম্পিক সেলের আওতায়, হিথ ম্যাথুজের সমস্ত খরচ বহন করা হয়েছে। লক্ষ্য আরও বলছেন, ‘কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয় দারুণ আনন্দের। সিনিয়র স্তরে প্রথম মাল্টি ইভেন্টে সোনা। বার্মিংহ্যাম গেমস থেকে অনেক কিছু শিখেছি। দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।’ এত কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোমহর্ষক মুহূর্ত? সোনা জয়ের পর পোডিয়ামে পিভি সিন্ধু। জাতীয় সঙ্গীত বাজছে। লক্ষ্য জানালেন, ‘নিজের ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপ করছিলাম। জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল। সেখান থেকেই বাড়তি প্রেরণা পাই। আমার ফাইনালের পরও একই মুহূর্তের পুনরাবৃত্তি হয়।’

Next Article