First Text Message: প্রযুক্তির দুনিয়ায় 3 ডিসেম্বর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। কারণ, 30 বছর আগে এই দিনেই বিশ্বের প্রথম টেক্সট মেসেজটি পাঠানো হয়েছিল একটি মোবাইল ফোনে। SMS বা শর্ট মেসেজ সার্ভিস পরবর্তীতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনের বের্কশায়ারে ভোডাফোনের এক ইঞ্জিনিয়ার সর্বপ্রথম টেক্সট মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন।
নিল পাপওয়ার্থ নামে এক সফটওয়্যার প্রোগ্রামার ফার্মের বস রিচার্ড জারভিসের কাছে প্রথম টেক্সট মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মিস্টার জার্ভিস ক্রিসমাস পার্টিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাই, পাপওয়ার্থ তাঁর কাছ থেকে কোনও রিপ্লাই পাননি। মূলত পরীক্ষা করে দেখার জন্য পাপওয়ার্থ সরাসরি তাঁর বসের কাছেই মেসেজটি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই প্রথম মেসেজে লেখা হয়েছিল ‘মেরি ক্রিসমাস’।
বিবিসি-র রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মিস্টার জারভিস সে সময় যে ফোনটি ব্যবহার করতেন, সেটি ছিল ব্র্যান্ড-নিউ Orbitel 901। সেই ফোনেই পাঠানো হয়েছিল বিশ্বের প্রথম টেক্সট মেসেজটি। ফোনটির ওজন ছিল 2.1 কেজি। ভাবা যায়?
নিল পাপওয়ার্থ বলেছিলেন, “1992 সালে আমার কোনও ধারণাই ছিল না যে, টেক্সটিং একদিন এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আর এই টেক্সটিংয়ের মাধ্যমে একদিন ইমোজির উত্থান হবে, আরও মেসেজিং অ্যাপ আসবে, যেগুলি সারা বিশ্বের মানুষ ব্যবহার করবেন। কয়েক দিন আগেই আমি আমার ছেলেকে বলছিলাম, প্রথম টেক্সট আমিই পাঠিয়েছিলাম। একটু পিছনের দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট হয়ে যায়, ক্রিসমাস মেসেজটি আমিই প্রথম পাঠিয়েছিলাম, যা মোবাইল ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত ছিল।”
মূলত, একটি SMS শুধুমাত্র টেক্সট হতে পারে তখন, যখন তার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য 160 অক্ষর হয়। এই ধারণাটি 1980 সালের দিকেই চলে এসেছিল। তবে মোবাইল ডিভাইসে সত্যিকারের টেক্সট মেসেজ হিসেবে তার আগমন হতে আরও 10 থেকে 12 বছর লেগে গিয়েছিল।
বিবিসি-র রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, SMS পরিষেবা যখন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়, সে সময় ফোন ব্যবহারকারীরা প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন এসএমএস পাঠাতে থাকেন। 2010 সালে ‘টেক্সটিং’ শব্দটি অভিধানে ঠাঁই করে নেয়। টেক্সটিং আজও আছে, ব্যাপক ভাবেই আছে। তবে তার রূপ বদলেছে। সে এখন সেলুলার নেটওয়ার্কের পরিবর্তে ইন্টারনেট-ভিত্তিক হয়েছে। এসেছে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং- হোয়াটসঅ্যাপ, আইমেসেজ আজ জনপ্রিয়তার অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে।