টানা ৩১২ দিন উড়েছে উচ্চ ক্ষমতা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্মত একটি হাই অল্টিটিউড বেলুন। গুগলের শাখা সংস্থা অ্যালফাবেট এই বেলুন তৈরি করেছে। নাম দেওয়া হয়েছে লুন। মূলত, প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয় এই বেলুন। ২০১৯ সালের মে মাসে পুয়ের্তো রিকো থেকে ওড়ানো হয়েছিল এই বেলুন। পেরুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল বেলুন। প্রায় তিন মাস সেখানে পরিষেবা দিয়েছে এই অত্যাধুনিক বেলুন।
এরপর প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে সাত মাস ধরে উড়েছে এই বেলুন। চলতি বছর মার্চ মাসে মেক্সিকোর বাজা থেকে শেষ পর্যন্ত এই বেলুন উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন তথ্যও। উল্লেখ্য, প্রত্যন্ত জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশিও এই অ্যালফাবেট বেলুনের অনেক কাজ রয়েছে। এই অত্যাধুনিক বেলুনের সঙ্গে বাঁধা থাকে একটি ফ্লাইট সিস্টেম। ছোটখাটো এয়ারক্রাফটের সঙ্গে এই বেলুনের তুলনা করাই যায়। এর মধ্যে থাকা ফ্লাইট সিস্টেমে থাকে সোলার প্যানেল, অ্যান্টেনা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩০০ ঘণ্টায় ৩০ লক্ষ ছায়াপথের ম্যাপিং! চমক দিল অস্ট্রেলিয়ান রেডিও টেলিস্কোপ
এক নজরে এই বেলুনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য-
১। বায়ুমন্ডলের স্ট্র্যাটস্ফিয়ার স্তরে অবস্থান করে এই বেলুন। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে ২০ কিলোমিটার উপরে এর অবস্থান। সেখান থেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে এই বেলুন।
২। ইতিমধ্যেই এই বেলুনে থাকা হাই অল্টিটিউড প্ল্যাটফর্ম স্টেশন (এইচএপিএস) -এর পরিষেবা পেয়েছে কেনিয়া।
৩। এইচএপিএস পরিষেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ফোর জি এলটিই এবং ফাইভ জি কানেকশন পাওয়া যায়।
৪। সাধারণ গ্রাউন্ড সেল টাওয়ারের তুলনায় বেলুনে থাকা এইচএপিএস একটি এলাকাকে ২০০ গুণ বেশি ভাল ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে পারে।
৫। রুক্ষ-বন্ধুর এলাকাতেও এই বেলুন কাজ করতে সক্ষম। এমনকি প্রয়োজনে ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করাও যায়।
৬। যে স্থানে বেলুন অবস্থান করছে সেখানে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তার তথ্যও দিতে পারবে অ্যালফাবেটের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হাই অল্টিটিউড বেলুন।