অ্যাপল-এর গাড়িটি (Apple) মার্কেটে অফিসিয়ালি কবে নাগাদ লঞ্চ করবে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত কোনও বার্তা মেলেনি। তবে বিগত কয়েক মাসে একাধিক জল্পনা শোনা গিয়েছে। আর সেগুলি শোনার পরে অ্যাপল গাড়িটির (Apple Car) জন্য আরও অপেক্ষা করতে প্রস্তুত ভক্তরা। এবার এই আসন্ন গাড়িটি নিয়ে আর একটি নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও তার যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে। একটি নতুন সানরুফ প্রযুক্তির (Sunroof Technology) পেটেন্ট ফাইল করেছে অ্যাপল, যার স্বচ্ছতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন গাড়ির ড্রাইভার। গাড়ির ভিতরে কতটা সূর্যের আলো প্রবেশ করবে, তা সানরুফ খুলে সেট করে নিতে পারবেন অ্যাপল গাড়ির চালক।
গাড়ি-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মোটরট্রেন্ড, অ্যাপল গাড়ির এই পেটেন্টটি সর্বপ্রথম লক্ষ্য করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এমনই সানরুফ প্রযুক্তির কল্পনা করেছে অ্যাপল, যাতে ওপাসিটি গ্লাস রয়েছে এবং সেটি বিভিন্ন তাপমাত্রার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। সানরুফ প্রযুক্তি নিয়ে অ্যাপল যে পেটেন্টটি ফাইল করেছে, সেখানে বলা হচ্ছে, “এই উদ্ভাসিত অংশের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জানলা ও তার সঙ্গে একটি পরিবর্তনশীল ট্রান্সলুসেন্স। জানলা দিয়ে ঠিক কতটা পরিমাণ আলো ঢুকবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পরিবর্তনশীল এই ট্রান্সলুসেন্স।”
এই পেটেন্টটি ফাইল করেছে অ্যাপল
এই সানরুফটি কাজে লাগতে পারে, যখন আপনার সূর্যের আলো প্রয়োজন তখন। যেমন, শীতকালে। কিন্তু ভিতরে ঠান্ডা বাতাস চাইছেন না, এমন সময়ে ব্যাপক ভাবে কাজে লাগতে পারে সানরুফটি। তবে, গ্রীষ্মের সময় অ্যাপল গাড়িতে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকবে। পেটেন্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, সানরুফটি বিপরীতে পাশের জানালার সঙ্গে ক্রমানুসারে খুলবে। এই একই প্রযুক্তির অন্যান্য গাড়িতে কিন্তু এই ধরনের ফিচার্স দেখা যায় না। এই খোলা সানরুফ ড্রাইভারকে কিছুটা মৃদুমন্দ বাতাসও পেতে সাহায্য করবে। তবে সানরুফটির অন্যান্য উদ্দেশ্যও থাকতে পারে, যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
সানরুফের সমস্ত কন্ট্রোল, কারপ্লে এবং সিরি অ্যাপে উপলব্ধ হবে। যদিও পেটেন্ট থেকে এই সব তথ্য় সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তবে পেটেন্ট এমনই একটা প্রমাণ, যা থেকে চোখ বন্ধ করে বলা যেতে পারে যে, অ্যাপল গাড়িটি তাড়াতাড়ি লঞ্চ করতে পারে। অ্যাপল-এর তরফ থেকে এই গাড়ি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানানো হয়েছে, সেগুলিই একবার জেনে নেওয়া যাক।
একটি সেল্ফ-ড্রাইভিং ভেহিকল সিস্টেম নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল, যা হয়তো সংস্থার প্রথম গাড়িটিতেই দেওয়া হতে পারে। এদিকে আবার অন্য কয়েকটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, টেসলার মতোই একটি ইলেকট্রিক গাড়ি হতে চলেছে অ্যাপল কার। পাশাপাশি আবার একাধিক জনপ্রিয় অটোমোটিভ সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রোডাকশন শুরু করারও পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। আর এই সব কিছু থেকেই মনে করা হচ্ছে অ্যাপল গাড়িটি শীঘ্রই লঞ্চ হতে পারে। যদিও একাধিক অন্য রিপোর্টে আবার বলা হয়েছে, অ্যাপল কার অফিসিয়ালি লঞ্চ করতে আরও ৩ থেকে ৪ বছর লেগে যাবে। আর তার সবথেকে বড় কারণ হল, এই গাড়ির প্রজেক্ট ছেড়ে অনেক এগজ়িকিউটিভ মাঝপথে বেরিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ইলেকট্রিক এসইউভি নিয়ে আসছে মারুতি সুজ়ুকি, দাম হবে ১০ লাখ টাকার কম, যে ৫ তথ্য জানতেই হবে
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম পেট্রল চালিত উড়ন্ত গাড়ি যে ভাবে আপনার শহরটাকে বদলে দিতে পারে