Bajaj একটি নতুন কমিউটার মোটরসাইকেল নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি ক্যামেরায় ধরাও পরেছে সেই বাজাজ কমিউটার মোটরসাইকেলটি। বাজাজের চাকানের কারখানায় বাইকটি তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই সেই বাইকটির টেস্ট মিউল ধরা পড়েছে পুণেতে। সেই বাইকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
স্পাই ইমেজ থেকে দেখে মনে হচ্ছে, Bajaj তার CT লাইনআপের কমিউটার বাইক সিরিজ়ের সম্প্রসারণ করতে চাইছে। এই মুহূর্তে CT রেঞ্জে মোট তিনটি বাইক রয়েছে কোম্পানির- CT 100, CT 110 এবং CT 125X। নতুন যে মডেলটি নিয়ে Bajaj কাজ করছে, সেটি হতে চলেছে CT 150X। বাজাজের সিটি রেঞ্জের মোটরসাইকেলের সবথেকে ভাল মডেল হতে চলেছে এই Bajaj CT 150X।
Bajaj CT 150X: কেমন হতে চলেছে বাইকটি?
স্পাই শটে বাইকটির পুরোদস্তুর ক্যামোফ্লাজ করা মডেলটি দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে বাইকের লুক ও ফিচার্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জানা গেলেও টেস্টিং প্রোটোটাইপ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছে। বাইকের আপ ফ্রন্টে থাকছে একটি রাউন্ড হেডল্যাম্প। সেখানে সাইজ়েবল বাল্ব টার্ন ইন্ডিকেটর্স এবং লাইসেন্স প্লেটও রয়েছে। ফ্রন্ট ফর্কের ঠিক পাশে থাকছে একটি হ্যান্ডেলবার এবং হ্যান্ড গার্ড। এই সব ফিচারগুলি থেকেই বাইকটির সঙ্গে অনেকাংশেই মিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে CT 125X-এর, যা গত বছরে লঞ্চ করা হয়েছিল।
ফুয়েল ট্যাঙ্ক আগের থেকে আরও একটু রাউন্ডেড করা হয়েছে, তাতে কোনও কার্ভ নেই। রিয়ার বডি প্যানেলও আগের থেকে একটু অন্যরকম করা হয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইটের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গেল-পিস সিট, একটি ইঞ্জিন সাম্প গার্ড, স্প্লিট স্পোক অ্যালয় হুইল, রিয়ার টায়ার হাগার এবং ইন্টিগ্রেটেড রিয়ার ফুট রেস্ট।
Bajaj CT 150X: কী আশা করা যেতে পারে?
মনে করা হচ্ছে, Bajaj CT 150X বাইকের একটি 150CC ভার্সনও আসতে পারে। তার কারণ, Pulsar P150-এর বিক্রিবাট্টা সে ভাবে না হওয়ার ফলে মডেলটি বন্ধ করে দিতে হয় সংস্থাটিকে। এই মুহূর্তে Bajaj-এর ঝুলিতে রয়েছে মোট দুটি 150CC বাইক। তার একটি হল Pulsar 150 এবং অপরটি Pulsar N150। তবে এই বাইকটি যে সমস্ত প্রজন্মের বাইক-চালকের কথা মাথায় রেখে বেসিক কিছু ফিচার দিয়ে রাগড্ কমিউটার মোটরসাইকেল করা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
নতুন বাইকে Bajaj কী পাওয়ারট্রেন দেয়, সেটাই এখন দেখার। পুরনো Pulsar 150 বা নতুন N150 এই দুটি বাইকের মধ্যে কোনটির পাওয়ারট্রেন আসন্ন বাইকটিতে দেওয়া হয়, তা নিয়ে বাইক-প্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, যে পাওয়ারট্রেনই হোক না কেন, বাইকের দাম কম রাখতে যা-যা করতে হয় কোম্পানি ঠিক সেইগুলোই করবে।