বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতে বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের ঘটনা বেড়ে চলেছে। ফলে এদেশে দুর্ঘটনার সংখ্যাও আগের থেকে অপেক্ষাকৃত হারে বেড়েছে। এই সব দিক বিচার করেই নতুন একটি সমীক্ষায় ভারতকে সবথেকে ‘খারাপ’ চালকের আসনে বসানো হয়েছে। সম্প্রতি এই সমীক্ষাটি করেছে একটি ইনসুওরেন্স কোম্পানি। সেখানে সবথেকে খারাপ চালকদের নিরিখে ভারতের স্থান 4 নম্বরে। অন্য দিকে আবার বিশ্বে সবথেকে ভাল ড্রাইভার রয়েছে জাপানে, উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
বিশ্বের 50টি দেশের ড্রাইভারদের নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। সেই সমীক্ষার পরই সবচেয়ে ভাল এবং খারাপ ড্রাইভারের তালিকাটি তৈরি করা হয়। গবেষণা অনুযায়ী, তালিকাটি বিষয়ভিত্তিক হওয়ার ফলে গাড়ি চালকদের দক্ষতা বিচার করা কঠিন হয়ে যায়।
এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ট্রাফিক সচেতনতা এবং ট্রাফিক উদ্বেগের বিষয়গুলি। ইনসুওরেন্স কোম্পানিটির গবেষণা অনুযায়ী, ড্রাইভারদের দক্ষতা বিচার করতে গাড়ির স্পিড লিমিট, রাস্তার অবস্থা এবং রক্তে অ্যালকোহল সামগ্রীর স্তর-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়।
তবে বিশ্বের সবথেকে খারাপ ড্রাইভারদের দেশের তালিকায় ভারত যেখানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, সেই তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে রয়েছে থাইল্যান্ড এবং তার ঠিক পরেই পেরুর স্থান। তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে লেবানন, যাদের খারাপ ড্রাইভারের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। এই সমীক্ষায় ভারতের স্কোরিং যেখানে 2.34, ঠিক সেই জায়গায় জাপান 4.57 পয়েন্টস স্কোর করেছে।
সেরার সেরা ড্রাইভার রয়েছে এমন দেশগুলির তালিকায় জাপানের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং তারপরে রয়েছে নরওয়ে। চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে ইস্টোনিয়া। পাঁচ নম্বর স্থানে রয়েছে সুইডেন।
এদিকে সম্প্রতি জিওলোকেশন টেকনোলজি স্পেশ্যালিস্ট TomTom একটি সমীক্ষা করে। সেখানে সারা বিশ্বে গাড়ি চালানোর জন্য সবচেয়ে ধীর গতির শহরগুলির মধ্যে একটি হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ভিড়ের সময় মাত্র 10 কিলোমিটার কভার করতে গড়ে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লাগে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। বিশ্বব্যাপী মোট 416টি শহরের তুলনামূলক আলোচনা করে সমীক্ষাটি করা হয়েছে। সমীক্ষায় বেঙ্গালুরু যেখানে গাড়ি চালানোর জন্য ধীর গতির শহরগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, প্রথম স্থান দখল করেছে লন্ডন।