Star Rating On Crash Test: ক্র্যাশ টেস্টের সময় কতটা ভাল পারফর্ম করছে একটা গাড়ি, তার ভিত্তিতেই এবার দেশের গাড়িগুলিকে স্টার রেটিং দেওয়া হবে। কেন্দ্রের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করে এমনই ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই বিশেষ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, M1 ক্যাটেগরির গাড়িগুলি যাদের ওজন 3.5 টনেরও কম, তাদেরকে ‘ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর মধ্যে দিয়ে যাবে। M1 ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে সেই গাড়িগুলি, যেগুলি আটের বেশি সিট নেই এবং মূলত ‘ক্যারেজ অফ প্যাসেঞ্জার’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
গ্লোবাল NCAP টেস্ট ইতিমধ্যেই রয়েছে। একটা গাড়ি কতটা নিরাপদ, কতটা শক্তপোক্ত, তার পরীক্ষা করার জন্য এই গ্লোবাল ক্র্যাশ টেস্টের মধ্যে দিয়েও গাড়িগুলিকে যেতে হয়। কিন্তু তারপরেও ভারতের একটি আলাদা করে ‘ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম’-এর দরকার কী ছিল? আসলে এই প্রোগ্রামটি ডিজ়াইন করা হয়েছিল, স্ট্যান্ডার্ড ল্যাবরেটরি পরীক্ষার ভিত্তিতে গাড়ির ক্র্যাশ সেফটি পারফরম্যান্সের একটি ন্যায্য, অর্থপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যমূলক মূল্যায়ন করার জন্য।
কেন্দ্রের ওই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে, “ভারত-NCAP প্রাথমিক ভাবে একটি ভলান্টারি প্রোগ্রাম হতে চলেছে। মন্ত্রকের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা ভেহিকল সিলেকশন নির্দেশিকায় যা উল্লেখ করা হয়, তার বাইরে গিয়ে একটি ভলান্টারি প্রোগ্রাম।” সামগ্রিক মূল্যায়নটি নির্ভর করছে গাড়ির নির্দিষ্ট মডেলের পারফরম্যান্সের উপরে। মোট তিনটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করবে এই পারফরম্যান্স রেটিং– অ্যাডাল্ট অকুপ্যান্ট প্রোটেকশন, চাইল্ড অকুপ্যান্ট প্রোটেকশন এবং সেফটি অ্যাসিস্ট টেকনোলজি। এই প্রত্যেকটি মূল্যায়নে জন্য পৃথক-পৃথক ভাবে পরীক্ষার প্রয়োজন আছে।
‘ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম’-এ মোট তিনটি ক্র্যাশ টেস্টের উপর দিয়ে যেতে হবে একটি গাড়িকে। তার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করে একটি নতুন গাড়িকে স্টার রেটিং দেওয়া হবে। সেগুলি হল- অফসেট ডিফর্মেবল ব্যারিয়ার ফ্রন্টাল ইমপ্যাক্ট টেস্ট, সাইড ইমপ্যাক্ট টেস্ট এবং পোল সাইড ইমপ্যাক্ট টেস্ট। তবে কেন্দ্রের এই বিশেষ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অটোমোবাইলের দামের উপরেও প্রভাব ফেলবে এই রেটিং। ওই সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, যে গাড়ি যত বেশি সেফটি রেটিং পাবে, তত তা পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হরা কমাবে, তাই তার দামও বেশিই হবে।