চিনের সবচেয়ে বড় রকেটের অংশ প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। ভেঙে পড়তে পারে শনিবার মধ্যরাত বা রবিবারে। গত কয়েকদিন ধরেই এই খবর শোনা যাচ্ছিল। সম্প্রতি একটি মার্কিন স্পেস রিসার্চ সেন্টার এই আশঙ্কায় সিলমোহর বসিয়েছে। তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহের চিনের এই রকেট লঞ্চ করা হয়েছিল। সেটিই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও চিনের বিদেশ মন্ত্রক কিছুটা স্বস্তির বাণী শুনিয়েছে। তারা জানিয়েছে, মহাকাশ থেকে ফিরে আসার সময় পৃথিবীর কাছাকাছি এলেই ওই রকেটের বেশিরভাগ ভাঙা অংশ বায়ুমণ্ডলের মধ্যেই জ্বলেপুড়ে যাবে। তাই বিশেষ কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। অকারণ আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক।
যদিও অন্যদিকে, মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছিল এই রকেটের অংশবিশেষ ভেঙে পড়ার ঘটনা মোটেও কম আতঙ্কের নয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় ঢোকার (রি-এন্ট্রি) পর প্রবল গতিতে ধাবমান হবে এই সুবিশাল রকেট। তারপর অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ভেঙে পড়তে পারে পৃথিবী পৃষ্ঠে। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে কোনও মহাসাগরেও ভেঙে পড়তে পারে রকেটের অভ্যন্তরীণ অংশ। সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম।
শুক্রবার ইউনাইটেড স্টেটস- এর এরোস্পেস কর্পোরেশনের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে চিনের লং মার্চ ৫বি রকেট ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৪৯মিনিটে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রি-এন্ট্রি নিতে পারে। Center for Orbital Reentry and Debris Studies (CORDS)- এর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী চিনা রকেটের ভাঙা অংশ নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের কাছে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডল পেরিয়ে যে পথে রকেটের ভাঙা অংশগুলো আসবে, সেই পথের যেকোনও অন্য অংশেও ভেঙে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলের বুকে প্রথমবার হেলিকপ্টার Ingenuity-র উড়ানের শব্দ রেকর্ড করল রোভার পারসিভের্যান্স
গত ২৯ এপ্রিল চিনের হাইনান দ্বীপ থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, চিনের বৃহত্তম রকেট Long March 5B অভ্যন্তরীণ অংশ ভেঙে পড়তে পারে। এই অংশ ১১০ ফুট লম্বা। অন্যদিকে রকেটটির ওজন ২২ মেট্রিক টন। শোনা গিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথে নিজের দেশের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে চিন। এই প্রকল্পটির নাম ‘তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন’। সূত্রের খবর, মহাকাশের এই প্রকল্পের জন্যই সুবিশাল লং মার্চ ৫বি রকেটটি তৈরি করেছে চিন।