সাট্টা খেলা আজকের নয়, স্বাধীনতার আগে থেকেই ভারতে হয়ে আসছে, যা এক ধরনের জুয়া। পুরোদস্তুর লটারি খেলার রূপ পায় 1950 সালের পরপরই। এখন সেই খেলাই অনলাইনে সাট্টা মটকা বা সাট্টা কিং অনলাইন নামে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জুয়া ভারতে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। তবুও বহু মানুষ এই অনলাইন সাট্টা মটকা গেমের প্রতি আসক্ত, তাদের ভাগ্যের চাকা কীরকম ঘুরছে তা পরখ করতে। প্রসঙ্গত, ভারতে এমন অনেক লটারি ও ঘোড়ার রেসিং গেমস রয়েছে, যেগুলি দেশে বৈধ।
সাট্টা কিং কী
সাট্টা কিং হল অনলাইন একটি জুয়ার মতোই খেলা, যা একাধিক মানুষ খেলতে পারেন। হালফিলে যে সাট্টা কিং গেমটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তাতে মূলত পুরস্কার জেতার জন্য নম্বর গেস করতে হয়। প্রসঙ্গত, সাট্টা ভারতে বেআইনি হলেও এই সাট্টা মটকা অনলাইন গেমটি এ দেশে বৈধ। 1950 সালের দিকে এই গেমটিকেই বলা হত ‘আনকাড়া জুগাড়’।
সাট্টা কিং বা মটকা গেমটি কীভাবে খেলতে হয়
সাট্টা কিং অনলাইন গেমে সাট্টা মটকার স্লিপে অনেকগুলি নম্বর লেখা থাকে। তার মধ্যেই একটিতে লটারি থাকে, যা আসলে একটা অনন্য নম্বর। 00 থেকে 99 এর মধ্যে বিভিন্ন নম্বর গেস করে প্লেয়ারদের বাজি ধরতে হয়। আপনার আন্দাজ করা নম্বরটি সঠিক হলে আপনি সাট্টা কিং হবেন এবং পুরস্কার হিসেবে টাকা পেয়ে যাবেন।
এখন আপনার আন্দাজ করা নম্বর যদি ভুল হয়, তাহলে টাকার বাজিতে আপনি হারবেন এবং সব অর্থ হারাবেন। তবে র্যান্ডম নম্বর খোলার সময়টি সংস্থা দ্বারা পূর্ব নির্ধারিত হয় এবং বিভিন্ন সংস্থার ক্ষেত্রে সময়টা ভিন্নও হয়।
সাট্টা কিং গেমের ফলাফল কীভাবে জানা যায়
মটকা খেলার জন্য একাধিক সাট্টা কিং ওয়েবসাইট রয়েছে। একটা নির্দিষ্ট গেমের লটারি রেজ়াল্ট জানতে, সেই লটারির অফিসিয়াল সাইটে যেতে হবে। প্রাত্যহিক ভিত্তিতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
ডিসক্লেইমার: এটি কেবলই একটি খবর। সাট্টা কিং সম্পর্কে পাঠকদের কৌতূহল নিয়ে খবরটি প্রকাশিত। TV9 বাংলা কোনও ভাবেই পাঠককে এই গেম খেলার জন্য উৎসাহিত করে না। এই অনলাইন জুয়া খেলাটি ভারতে বৈধ হলেও সত্যিকারের জুয়া এ দেশে 1867 সালে পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্টের আওতায় বেআইনি ঘোষণা করেছিল তদানিন্তন ব্রিটিশ সরকার।