Earphone Tips: গান শোনা থেকে সিনেমা দেখা, অবসর সময় হলেই কানে ইয়ারবাড বা হেডফোন লাগিয়ে নেন। এছাড়াও রাস্তায় যাতায়াতে সব সময় ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। তার উপরে বেশিরভাগ সময়ই চাই ভলিউমে গান শোনেন। এতে আপনার কানের যে কতটা ক্ষতি হচ্ছে, তা আপানর ধারণাও নেই। সম্প্রতি, গোরখপুরে একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে এক যুবক অতিরিক্ত ইয়ারবাড ব্যবহারের কারণে বধির হয়ে পড়েছে। পরে তার কানে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে তিনি বর্তমানে সুস্থ। এই ধরনের সমস্যা আপনার যে কারোরই হতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘক্ষণ ইয়ারবাড পরলে কানে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, কানেও বায়ুচলাচল প্রয়োজন। এটা না হলে বধিরতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই হেডফোন বা ইয়ারবাড কেনার আগে কিছু বিশেষ দিকে নজর দিতে হয়।
ইয়ারফোন কখন এবং কতটা ব্যবহার করা উচিত?
দিনে কম সময়ের জন্য হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া হাই ভলিউমে অডিয়ো শোনার অভ্যাস থাকলে, তা বন্ধ করুন। ইয়ারবাডে ভলিউমের মাত্রা 60 শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এতে কানের পর্দার উপর চাপ পড়ে। ফলে যদি মনে করেন টানা দুই ঘন্টা সিনেমা দেখবেন ইয়ারবাড পরে, তাহলে তা একেবারেই করা উচিত নয়। প্রয়োজনে 30 মিনিট শুনে আবারও 10 মিনিটের জন্য কান থেকে খুলে রাখুন। তারপরে আবার ব্যবহার করুন।
কেনার আগে মাথায় রাখুন এই সব বিষয়:
বাজারে অনেক কম দামের হেডফোন বা ইয়ারবাড পাওয়া যায়। তাই যে কোনও ধরনের হেডফোন বা ইয়ারবাড ব্যবহার না করাই ভাল। সম্ভব হলে অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন সহ ইয়ারবাড ব্যবহার করুন। এই ধরনের হাডফোন বাইরের আওয়াজকে ব্লক করে। ফলে আপনি যদি আওয়াজ কম দিলেও একদম স্পষ্ট শুনতে পাবেন। এর সঙ্গে সঙ্গে যা-ই ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না কেন, সেটিকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। বাড়িতেই খুব সহজে পরিষ্কার করা যায়। সম্ভব হলে ইয়ারবাডের পরিবর্তে ওভার-দ্য-ইয়ার হেডফোন ব্যবহার করুন। এগুলি কানের ভিতরে ঢোকে না। ফলে অন্য সব ইয়ারফোনের থেকে তুলনায় অনেক নিরাপদ। আর চার্জ করার সময় ভুলেও কানে ইয়ারফোন লাগাবেন না। বেশিরভাগ হেডফোন এবং ইয়ারফোনে 3.5 মিমি জ্যাক থাকে। কিছু হেডফোনের ইউএসবিতে টাইপ-সি কানেকশন থাকে। ইউএসবি-টাইপ-সি হেডফোনগুলি চার্জ করার সময় ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু অনেক ব্লুটুথ হেডফোন আছে, যেগুলি চার্জের সময় ব্যবহার করা যায়। কিন্তু তা কোনও ভাবেই করবেন না।