আগামী ২৬ মে ২০২১ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, এটি একটি ‘টোটাল লুনার ইক্লিপস’ বা ‘পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ’ হতে চলেছে। কারণ পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন ছায়া এলাকা দিয়েই অগ্রসর হবে চাঁদ। এর আগে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি শেষবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। তার প্রায় ২ বছর পর ফের ‘টোটাল লুনার ইক্লিপস’ দেখা যেতে চলেছে।
এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বা টোটাল লুনার ইক্লিপসকে ‘ব্লাড মুন’- ও বলা হয়। মূলত, গ্রহণ চলাকালীন লালচে কমলা রঙে এবং বেশ বড় আকারে দেখা যায় এই চাঁদ। সেই কারণেই একে বলা হয় ‘ব্লাড মুন’। অন্যদিকে আর পাঁচটা সাধারণ দিনে চাঁদকে যে আকার-আয়তনে দেখা যায়, তার থেকে কিছুটা বড় আকারে দেখা গেলে তাকে বলা হয় সুপারমুন। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ মে যে চাঁদ দেখা যাবে, চলতি বছরে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় চাঁদ।
২০২১ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ, একনজরে দেখে নিন কয়েকটি বৈশিষ্ট্য-
১। ২৬ মে রাতে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ। লালচে কমলা রঙের চাঁদ (ফুল মুন) থাকবে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি।
২। অন্যান্য দিনের তুলনায় রঙের সঙ্গে আকার-আয়তনেও ফারাক পাওয়া যাবে চাঁদের। খালি চোখেই বোঝা যাবে যে চাঁদের আকার কিছুটা বড়।
৩। অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাংশ, দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম ভাগ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই সুপার ব্লাড মুন দেখা যাবে।
৪। earthsky.org- এর তথ্য অনুযায়ী ১৫ মিনিটেরও কম সময় এই চন্দ্রগ্রহণ স্থায়ী হবে।
২০২১ সালে কতগুলো গ্রহণ দেখা যাবে?
গড়ে প্রতি বছর চার থেকে সাতটি গ্রহণ দেখা যায়। তার মধ্যে কিছু হয় আংশিক গ্রহণ। কিছু থাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ। অন্যদিকে আবার ‘ফুল মুন’- এর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন নাম রয়েছে। মূলত স্থানীয় সংস্কৃতি এবং আবহাওয়া বা মরশুমের উপর ভিত্তি করে এইসব নামকরণ হয়।
আরও পড়ুন- গ্রহাণু Bennu থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরছে নাসার স্পেসক্র্যাফট OSIRIS-REx
এই বছর আসন্ন কয়েকটি গ্রহণের তালিকা-
১। ২৬ মে- টোটাল লুনার ইক্লিপস বা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
২। ১০ জুন- অ্যানুলার সোলার (সূর্য) ইক্লিপস।
৩। ১৯ নভেম্বর- আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বা পার্শিয়াল লুনার ইক্লিপস।
৪। ৪ ডিসেম্বর- টোটাল সোলার ইক্লিপস বা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।