মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে ল্যান্ড করেছিল নাসার রোভার পারসিভের্যান্স। পার হয়েছে প্রায় দু’সপ্তাহ। এর মধ্যে লাল গ্রহের বুকে ছোটখাটো একটা সফরও সেরে ফেলেছে এও রোভার। এই সফরে রোভার যা যা পর্যবেক্ষণ করেছে সেই খবরও এসেছে নাসার কাছে। লস এঞ্জেলসের কাছে রয়েছে নাসার Jet Propulsion Laboratory (JPL)। সেখান থেকে মিশন ম্যানেজারের নির্দেশ অনুসারে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে ঘুরে বেরিয়েছে রোভার পারসিভের্যান্স।
ছ’চাকার, গাড়ির মতো দেখতে রোভারের অ্যাস্ট্রোবায়োলজিকাল ড্রাইভ চলেছে মোট ৬.৫ মিটার (২১.৩ ফুট) এলাকা জুড়ে। odometer-এর সাহায্যে এই পরিমাপ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। আধ ঘণ্টার টেস্ট স্পিনের মধ্যে হদিশ পাওয়া গিয়েছে একটি Jezero Crater-এর। এই Jezero Crater হল মঙ্গল গ্রহের এক সুবিশাল গর্ত। মনে করা হয়, একসময় এই অংশ জলে পরিপূর্ণ ছিল। এছাড়াও ছিল লেক বেড এবং রিভার ডেল্টা। অর্থাৎ মনে করা হয়, নদী বদ্বীপ বা লেকের অবস্থান ছিল এখানে।
"Our first drive went incredibly well. […] You can see the wheel tracks that we left on Mars. I don't think I've ever been happier to see wheel tracks, and I've seen a lot of them." — @NASAJPL's Anais Zarifian describes a milestone for @NASAPersevere. pic.twitter.com/gewrGoLsRa
— NASA (@NASA) March 5, 2021
জানা গিয়েছে, লস এঞ্জেলসের Jet Propulsion Laboratory-র মিশন ম্যানেজারের দেওয়া ডিরেকশন বা দিক অনুযায়ী রোভার পারসিভের্যান্স সামনের দিকে ৪ মিটার (১৩.১ ফুট) এগিয়েছিল। তারপর নিজের বাঁ দিকে ১৫০ ডিগ্রি ঘুরে পিছনের দিকে ২.৫ মিটার (৮.২ ফুট) পিছিয়ে এসেছিল।
সম্প্রতি নাসার তরফে টুইটে দু’টি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। যার একটি দেখা গিয়েছে মঙ্গল গ্রহের রুক্ষ পৃষ্ঠদেশের ছবি। তার মধ্যে নুড়ি-পাথর, বোল্ডার জাতীয় জিনিসও চোখে পড়েছে। আর একটি ছবিতে স্পষ্ট ভাবে বোঝা গিয়েছে লাল গ্রহের বুকের উপর রোভারের চাকার দাগ। নাসা সূত্রে খবর, একদিনে রোভার পারসিভের্যান্স গড়ে ২০০ মিটার সফর করতে পারে।
আরও পড়ুন- চিনের মঙ্গল অভিযান: লাল গ্রহের ছবি প্রকাশ করল স্পেসক্র্যাফট Tianwen-1
রোভারের নতুন গতিবিধি দেখে উচ্ছ্বসিত নাসার বিজ্ঞানীরা। Jet Propulsion Laboratory-র বিজ্ঞানী অ্যানিস জ্যারিফিয়ান বলেছেন, “আমাদের প্রথম সফরটুকু দারুণ হয়েছে। এর আগে চাকার দাগ দেখে এত খুশি কখনও হইনি।” তবে ল্যাবের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, পরবর্তী জার্নিতে পাঠানোর আগে রোভারের আরও কিছু ইন্সট্রুমেন্ট চেক করে দেখে নিতে হবে।
এই মিশনের ডেপুটি ম্যানেজার রবার্ট হগ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত নিখুঁত ভাবে কাজ করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। পরবর্তী পর্যায়ে লাল গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে এই রোভার। খুঁজে দেখবে কোনও জীবাশ্ম রয়েছে কিনা। আপাতত রোভারের পোস্ট-ল্যান্ডিং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।