কেতাদুরস্ত স্মার্টফোন বললে প্রথমেই মাথায় আসে নয়া প্রযুক্তির সেই সব মডেল, যেগুলি আপনি ভাঁজ করে পকেটে ঢুকিয়ে রাখতে পারেন। ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের বাজার যত বড় হচ্ছে, তত এই মার্কেটে প্রবেশ করছে একের পর এক টেক জায়ান্ট। আর এই অগস্ট যেন ফোল্ডেবল ফোনের মাস! স্যামসাং, শাওমি, তারপর মোটোরলা – চলতি মাসেই একপ্রকার পাল্লা দিয়ে হ্যান্ডসেট মেকাররা তাদের ভাঁজ করা ফোনগুলি নিয়ে এসেছে। যদিও এদের মধ্যে একটিও এখনও ভারতে লঞ্চ করেনি। তবে স্যামসাং বিশ্ব বাজারে তার লঞ্চ হওয়া এক্কেবারে সাম্প্রতিকতম ফোল্ডেবল ফোনটি ভারতে শীঘ্রই লঞ্চ করতে চলেছে। এর মধ্যেই আবার জল্পনা, ওয়ানপ্লাসও একটি ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে আসতে চলেছে।
ওয়ানপ্লাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিট লাউ সম্প্রতি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে দুটি ছবি পোস্ট করেন। ক্যাপশনে জুড়ে দেন একটাই বাক্য, ‘আপনাদের কী মনে হয়, এটি কী?’ প্ৰযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোল্ডেবল স্মার্টফোনের ‘হিন্জ’ বা স্ক্রিন ভাঁজ হওয়ার ক্ষেত্রে যে যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয়, এটি সেই টুকরোটিই। ফলে, ওয়ানপ্লাস যে এবার ফোল্ডেবল ডিসপ্লে নিয়ে কাজ করছে, তা মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।
ইতিমধ্যেই ‘T’ সিরিজের ফোন বানিয়ে স্মার্টফোনের বাজারে বেশ পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে ওয়ানপ্লাস। এখন, ফোল্ডেবল স্মার্টফোন নির্মাণের ক্ষেত্রে সফল হলে ওয়ানপ্লাস টেক্কা দিতে পারবে স্যামসাং-শাওমি বা মোটোরোলার মতো প্রথম সারির ফোল্ডেবল ফোনমেকাদের। স্মার্টফোন রিটেলররা অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন। ফোল্ডেবল ফোনের ক্ষেত্রে ওপ্পোর গবেষণা এবং নির্মাণ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতা (R & D) যে ওয়ানপ্লাসের বেশ কাজে লাগবে, তা বলাই বাহুল্য।
ওপ্পোর ‘ফাইন্ড-এন’, ফোল্ডেবল স্মার্টফোন হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। যদিও ‘হিন্জ’ দেখে ওয়ানপ্লাসের সম্ভাব্য ফোন সম্বন্ধে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তাতে ওপ্পোর ফোনের সঙ্গে খুব একটা মিল নেই। স্যামসাং গ্যালাক্সি ফোল্ড ৪-এর মতো প্ৰযুক্তি থাকতে পারে ওয়ানপ্লাসের এই নতুন ফোনে।
2025-এর মধ্যে ‘S’ সিরিজের ফোনের বিক্রিকে ছাপিয়ে যেতে পারে গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ এবং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড-এর বিক্রি। জল্পনা যদি সত্যি হয়, তাহলে সম্পূর্ণ নতুন একটি বাজারে পা রাখতে পারে ওয়ানপ্লাস। এখন দেখার বাজারের নামীদামি ফোল্ডেবল ফোনের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে কি না ওয়ানপ্লাসের ভাঁজ করা ফোন।