তৃণভোজী ডায়নোসর! নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলল চিলির আটাকামা মরুভূমিতে

Sohini chakrabarty |

Apr 24, 2021 | 11:30 PM

এই আটাকাম মরুভূমি বিশ্বের শুষ্কতম মরুভূমি। বিগত প্রায় ১০০ বছর ধরে এই মরুভূমিতে বৃষ্টি হয়নি। রুক্ষ-শুষ্ক ভয়ঙ্কর এখানকার আবহাওয়া।

তৃণভোজী ডায়নোসর! নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলল চিলির আটাকামা মরুভূমিতে
ছবি প্রতীকী

Follow Us

ডায়নোসর, এই নামটা শুনলেই সাধারণ মানুষের চোখে ভেসে ওঠে হলিউডের ক্লাসিক সিনেমা। বইয়ের পাতায় ডায়নোসরের সঙ্গে পরিচয় হলেও, চোখে দেখা তো রুপোলি পর্দাতেই। যুগ যুগ ধরে ডায়নোসরদের নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা কথা। তার মধ্যে কিছু জিনিস বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। বাকি অনেক কিছুই আজগুবি বা মিথ।

তবে সম্প্রতি ফের হইচই ফেলে দিয়েছে এই ডায়নোসরাসই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার এক তৃণভোজী ডায়নোসরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাও আবার সুদূর চিলিতে। বিশ্বের শুষ্কতম মরুভূমি হল চিলির আটাকামা মরভূমি সেখানেই এই তৃণভোজী ডায়নোসরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সুবিশাল আকারের টিটানোসর প্রজাতির ডায়নোসরের বংশে হদিশ পাওয়া গিয়েছে Arackar Licanantay- র।

কুনজা ভাষায় Arackar Licanantay- এর অর্থ হল ‘আটাকামা বোনস’ অর্থাৎ আটাকামা মরুভূমিতে খুঁজে পাওয়া হাড়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কুনজা ভাষা এখন বিলুপ্ত হয়েছে। তবে একসময় উত্তর চিলি আটাকামা মরুভূমি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এই ভাষারই চল ছি। দক্ষিণ পেরুতেও একসময় এই কুনজা ভাষা বলা হত। পরে অবশ্য এই ভাষায় কথা বলা মানুষরা স্প্যানিশ ভাষা রপ্ত করে নেন।

কিন্তু রুক্ষ-শুষ্ক মরুভূমিতে গাছ কীভাবে পেয়েছিল এই বিশেষ প্রজাতির ডায়নোসররা?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে চিলির আটাকামা শুষ্কতম মরুভূমি হলেও, একসময় সেখানে গাছপালার সহাবস্থান ছিল। সেটা ৬৬ থেকে ৮০ মিলিয়ন বছর আগের ক্রিটেসিয়াস যুগ। সেই সময় বিভিন্ন ফুলের গাছ এবং পাম গাছ ছিল আটাকামায়। আর তেমন ভূমিতেই বসবাস করত এই Arackar Licanantay- রা। যদিও বিগত প্রায় ১০০ বছর ধরে আটাকামায় একফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি।

যে নমুনা বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন…

আটাকামায় এই তৃণভোজী ডায়নোসরদের দেহাংশের যে নমুনা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ফিমার, থাই বোন, ভার্টিব্রার অংশবিশেষ (গলা এবং পিঠের অংশ), হিপ বোনের কিছুটা অংশ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে ডায়নোসরের নমুনা পাওয়া গিয়েছে তার গলার অংশ ৬.৩ মিটার লম্বা। কিন্তু একে বয়সে ছোট Arackar বলেই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন- মঙ্গলগ্রহের ফিনফিনে বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন বের করেছে রোভার পারসিভের‍্যান্স

তাঁদের ধারনা, সুবিশাল টিটানোসর পরিবারেরই অংশ এই মাঝারি সাইজের তৃণভোজী ডায়নোসরাস। ওজন অন্তত ৩ হাজার কিলোগ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক হলে এই প্রজাতির ডায়নোসরদের উচ্চতা ৮ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে Arackar- এর ক্ষেত্রে ছোট মাথা এবং লম্বা গলা আর লেজের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। অন্যান্য ডায়নোসরের মতো এদের পৃষ্ঠদেশ ঢালু নয়।

আপাতত চিলির ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে তৃণভোজী ডায়নোসরদের দেহের খুঁজে পাওয়া অংশবিশেষ রাখা হয়েছে।

Next Article