জুলাই মাস থেকে উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh) চালু হতে চলেছে 4G প্রযুক্তির উপরে ভিত্তি করে স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার (Smart Electric Meter)। খাতায় কলমে উত্তর প্রদেশে জুলাই মাসে এই স্মার্ট বিদ্যুৎ মিটার চালু হলেও ধীরে ধীরে তা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চলে আসবে। প্রথাগত সাধারণ ইলেকট্রিক মিটারের থেকে এই 4G প্রযুক্তি ভিত্তিক মিটারগুলি অনেকটাই আলাদা। উত্তর প্রদেশের যে সব বাড়িতে এখনও পুরনো ইলেকট্রিক মিটার রয়েছে সেগুলিকে ধাপে ধাপে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আপডেট করে স্মার্ট করা হবে। পরিসংখ্যান বলছে, উত্তর প্রদেশে এখনও 12 লাখ ইলেকট্রিক মিটার রয়েছে, যেগুলিতে পুরনো এবং সেগুলিকেই মূলত স্মার্ট বৈদ্যুতিক মিটারে কনভার্ট করা হবে।
দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তর প্রদেশে স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার বসানোর কাজটি বন্ধ রয়েছে। সে রাজ্যের মানুষজন পুরনো প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক মিটারগুলির তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন এবং তার বদলে তাঁরা স্মার্ট প্রিপেড মিটার বসানোর দাবি জানিয়ে আসছেন, যা মূলত 4G প্রযুক্তির উপরে ভিত্তি করে চালিত হবে।
উত্তর প্রদেশের গ্রাহক পরিষদ দ্বারা বিষয়টি দিনের পর দিন ধরে উত্থাপিত করা হচ্ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এখন ইউপি পাওয়ার কর্পোরেশন এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক সে রাজ্যের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই 4G প্রিপেড ইলেকট্রিক মিটার বসাতে সম্মতি জানিয়েছে। জুলাই মাস থেকেই যার কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।
4G স্মার্ট প্রিপেড মিটার কীভাবে কাজ করে
মোবাইলের সিম কার্ডের একটা পোস্টপেড প্ল্যান যে ভাবে কাজ করে, ঠিক সে ভাবেই এই 4G প্রিপেড ইলেকট্রিক মিটার কাজ করে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনার কতটা পরিমাণ পাওয়ার দরকার, ঠিক ততটা ইউনিটের জন্য আপনাকে একটা প্ল্যান রিচার্জ করিয়ে নিতে হবে। এর সাহায্যে আপনি প্রতি মাসে বিল পেমেন্ট করার ঝামেলা থেকে একদিকে যেমন মুক্তি পাবেন, তেমনই আবার যাবতীয় কারচুপি সম্পর্কেও একবারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। অর্থাৎ কম ইউনিটেও আপনাকে বেশি বিল আর দিতে হবে না।
আগামী মাস থেকেই উত্তরপ্রদেশ সরকার সে রাজ্যে 4G ইলেকট্রিক মিটারগুলি বসাতে চলেছে। রাজ্যের মানুষের ক্রমাগত দাবির পাশাপাশি এই ধরনের স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার বসানোর প্রয়োজনীয়তা উদ্ভব হওয়ার পিছনে রয়েছে আরও কয়েকটি কারণ।
1) প্রিপেড মিটার থাকার ফলে সময় মতো ব্যবহৃত বা ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুতের টাকা দেওয়া যাবে।
2) প্রয়োজন অনুযায়ী রিচার্জ করলে গ্রাহকদেরও প্রতি মাসে বিল দিতে দৌড়তে হবে না।
3) অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার ভয় থেকেও মুক্তি মিলবে।
4) বিদ্যুৎ চুরির সমস্যা চিরতরে দূর হবে।
5) দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকা দেয় না, এমন বাড়িতে গিয়ে ইউপি পাওয়ার কর্পোরেশনকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে না।
সুতরাং, একটা বিষয় পরিষ্কার যে দেশের ঘরে-ঘরে স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার বসে গেলে তা পাওয়ার কর্পোরেশন, সরকার এবং সাধারণ মানুষ – সকলের ক্ষেত্রেই সুবিধার। এখন বাংলার প্রতিটা ঘরে এই ধরনের স্মার্ট বিদ্যুৎ মিটার কবে বসে, সেটাই এখন দেখার।