Sony LSPX-S3 Glass Sound Speaker: হালফিলের প্রযুক্তির অন্যতম একটি জনপ্রিয় বিষয় হল ব্লুটুথ। স্পিকার থেকে হেডসেট- সবেতেই এর ব্যবহার। পার্টি হোক বা রুমডেট, মুড ঠিক করতে ব্লুটুথ স্পিকারের বিকল্প নেই। তবে মার্কেটের হাজার হাজার স্পিকারের মধ্যে কোনটা বাছবেন? এত অপশন থাকার ফলে সঠিক ব্লুটুথ স্পিকার বেছে নেওয়ার কাজটি বড়ই জটিল। তবে, ইদানিং এমন কিছু ব্লুটুথ স্পিকার বাজারে ঝড় তুলছে, যেগুলি টু-ইন-ওয়ান অর্থাৎ একদিকে গানও চালাবে, আর একদিকে গ্রাহকদেক অন্য একটা জরুরি চাহিদা মেটাবে। তেমনই একটি হল Sony LSPX-S3 Glass Sound Speaker। এর সাহায্যে আপনি যে শুধু গান শুনতে পারবেন তাই নয়। আপনার ঘরও আলো করবে স্পিকারটি।
বোরিং বক্সের মতো দেখতে স্পিকারে হয়তো গান জোরে বাজে, গমগমে আওয়াজ পৌঁছে যায় আপনার পড়শির কাছেও। কিন্তু রোম্যান্টিক ডেটে পার্টনারের হাতে হাত রেখে তাঁর চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে চান, বা একটু ডান্স হলেও বা মন্দ কী! সেক্ষেত্রে টেবিলের ক্যান্ডেলের জায়গায় রাখতে পারেন সোনির এই স্পিকারটিকেই! অ্যামাজ়নে প্রায় 35,000 টাকায় পাওয়া যাবে এই স্পিকার।
সুবিধা:
গানের সঙ্গে আলো জ্বালিয়ে পার্টির মুড সেট করতে অপরিহার্য।
স্পিকারের স্লিপ টাইমার বাটন সঠিক সময়ে নিজে নিজেই স্পিকারকে বন্ধ করে দেবে।
অসুবিধা:
আকার-আয়তনের তুলনায় বড্ড বেশি দামি।
আওয়াজের ক্ষেত্রে কমদামি স্পিকারের সঙ্গে পাল্লা দিতে অক্ষম।
অ্যাপ ছাড়া কিছু ফিচার ব্যবহার করা যাবে না।
কাচ ভঙ্গুর পদার্থ, তাই ভ্রমণের সঙ্গী হতে পারবে না এই স্পিকার।
কী কী ফিচার রয়েছে?
কম কম্পনের আওয়াজের জন্য এর ভিতরে রয়েছে একটি প্যাসিভ রেডিয়েটর।
উপরেই রয়েছে ৪৬ মিলিমিটারের আপ-ফায়ারিং স্পিকার। ফলে গোটা স্পিকারটিকে ফুলদানির মতো দেখতে লাগে।
আকারের জেরে ৩৬০ ডিগ্রি জুড়েই ছড়িয়ে পড়ে এর আওয়াজ। চার্জিং পোর্ট বা বাটন দিয়ে ডিভাইসটির সম্মুখ নির্ধারণ সম্ভব নয়। টেবিলে রেখে অন করলেই পার্টি শুরু।
এই স্পিকারে রয়েছে ক্যান্ডেললাইট মোড এবং ফ্লিক-ফ্রি লাইট মোড। এই ফ্লিক মোডটি রাতে নাইট ল্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
প্রায় 8 ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে এই স্পিকার।
স্পিকারের নিচে থাকা বাটন টিপলেই 60 মিনিটের স্লিপ টাইমার অন হয়ে যাবে। ব্যস, ঘুমিয়ে গেলেও চিন্তা নেই। নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে ব্লুটুথ স্পিকারটি।
সোনির নতুন ব্লুটুথ স্পিকারে রয়েছে মাইক্রোফোন। ফলে, ফোন কানেক্ট করে নিলে সহজেই কথাবার্তা বলা যাবে এর মাধ্যমে। কোনও রকমের স্ক্রিন নেই এতে। যার জন্য মোড বদলের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা দূর করতে সোনি আলাদা আলাদা সেটিংয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সাউন্ড যুক্ত করেছে। যদিও বেশ কিছু সেটিং অ্যাপ ছাড়া করা একেবারেই অসম্ভব। প্রায় 30টি ধাপে স্পিকারের আলোর উজ্জ্বলতা বাড়ানো-কমানো সম্ভব। অ্যাপে থাকা মিউজিক সেন্টারের মাধ্যমে bass বা treble বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন সহজে। নরম সুরের গান শুনে ঘুমনো হোক বা পার্টি মুডের গান চালিয়ে উত্তাল নাচ, বাড়িতে সবরকমের মুডের সঙ্গেই যে পাল্লা দেবে Sony LSPX-S3, তা বলে দিচ্ছেন গ্যাজেট-বিশেষজ্ঞরাই।