ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (Internet Explorer) এক অতীত। এক সময়ের ব্রাউজারদের রাজা এখন ইতিহাসের পাতাতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে। যদিও এক্সপ্লোরার অতীত হওয়ায় সাধারণ মানুষের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, একাধিক বিকল্প ব্রাউজার চলে এসেছে মার্কেটে। গুগল ক্রোম, মোজ়িলা ফায়ারফক্সের মতো ব্রাউজারগুলি অনেক আগেই এক্সপ্লোরারের জনপ্রিয়তায় সরাসরি ধাক্কা দিয়েছিল। তবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সার্ভিস বন্ধ হওয়ার ফলে সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন জাপান (Japan)। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, একাধিক অর্গ্যানাইজেশন এখনও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের উপরে নির্ভর করে। প্রাইমারি ব্রাউজার হিসেবেই এটিকে কাজে লাগায় তারা। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এখনও অন্তত 49% মানুষ এক্সপ্লোরারকে নিজেদের প্রাথমিক ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করেন।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের মৃত্যুতে জাপানের কী সমস্যা?
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এখনও বহু সরকার এবং সরকারি এজেন্সি রয়েছে, যারা ওয়েবসাইট চালানোর জন্য এখনও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের উপরে নির্ভরশীল। একাধিক জাপানি সংস্থা রয়েছে, যারা এই ব্রাউজারকে অভ্যন্তরীণ টুল হিসেবে ব্যবহার করে। মূলত অ্যাটেন্ডান্স ম্য়ানেজমেন্টের কাজেই লাগে এই ব্রাউজার। কিছু কিছু সংস্থা আবার “ক্লায়েন্টদের সিস্টেমের কারণে অর্ডার পরিচালনার কাজে” ব্যবহার করে।
সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা যখন এক্সপ্লোরার ছেড়ে অন্যান্য ব্রাউজারে ফিরে যাচ্ছে, তখন জাপান খুবই ধীরে ধীরে এই ট্রানজিশনটি করে। জাপানের বহু সরকারি সংস্থা ব্রাউজার হিসেবে এখনও এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন। সে দেশের ইনফর্মেশন টেকনোলজি প্রোমোশন এজেন্সি তাদের ব্যবহারকারীদের অনেক দিন আগেই অন্য ব্রাউজারে শিফ্ট করে, কিন্তু সে ভাবে সাড়া মেলেনি।
এদিকে এই বিষয়টাই যদি মাইক্রোসফ্টের দিক থেকে দেখতে হয়, তাহলে অনেক আগে থেকেই সংস্থাটি তার এক্সপ্লোরার ইউজারদের মাইক্রোসফ্ট এজে শিফ্ট করার অনুরোধ করে। ক্রোম, ফায়ারফক্স বা অন্য যে কোনও ব্রাউজার ব্যবহারের কথাও বলা হয়।
15 জুন, 2022 মাইক্রোসফ্ট তার ব্লগ পোস্টে নিশ্চিত বার্তা দিয়ে লেখে, “25 বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়েবের একটা বিস্তীর্ণ অংশকে সার্ভিস দেওয়ার পর রিটায়ার করছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার। 15 জুন, 2022 থেকেই অকেজো হতে চলেছে এই ব্রাউজার। এই ব্রাউজার ব্যবহারের জন্য ইউজারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”