গরম পড়তেই AC চালাতে শুরু করেছেন অনেকেই। অনেকে আবার সাধের Air Conditionerটা সার্ভিসিং করতে ব্যস্ত। কিন্তু সেই সার্ভিসিং করাতে গিয়ে অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজে থেকে তা করতে পারেন না। অগত্যা একজন টেকনিশিয়ানকে ডেকে আনতে হয়। তাতেও আবার আর এক বিপদ! বেশি টাকা উপার্জনের লোভে কেউ আবার AC সার্ভিসিং করতে এসে ঠকিয়ে দিয়ে যাবেন না তো? খেয়াল করে দেখবেন, একটা এসি ঘর ভাল করে ঠান্ডা করতে না পারলে মেক্যানিক বলে থাকেন, সেই এসিতে গ্যাস কম রয়েছে। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে, এয়ার কন্ডিশনারে গ্যাস ভরতে কমপক্ষে 1000 থেকে 1500 টাকা খরচ হয়। কিন্তু গ্যাস ভরানোর নাম করে কেউ যদি আপনাকে ঠকিয়ে দিয়ে যায়? মাথায় রাখবেন, এসিতে যদি গ্যাস কম থাকে তাহলে আপনার ইলেকট্রিক বিলের খরচ অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। তাই, AC-তে গ্যাস কম থাকলে তা বোঝার নির্দিষ্ট কিছু উপায় আছে। সেগুলিই একবার জেনে নিন।
AC-তে গ্যাস কম থাকলে কীভাবে বুঝবেন?
1) আপনার ঘর ঠান্ডা হতে যদি বেশি সময় লাগে, তাহলে AC-র কোনও সমস্যা থাকতে পারে। এসির একাধিক সমস্যার একটি হল গ্যাস কমে যাওয়া।
2) এয়ার কন্ডিশনারের ভেন্ট যদি ঠান্ডা বাতাস না দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তাতে গ্যাস কম থাকতে পারে। আবার ভেন্ট থেকে যদি উষ্ণ বাতাস বেরোতে থাকে, তাহলেও তাতে গ্যাস কম থাকতে পারে।
3) আপনার ঘরের তাপমাত্রা এমন কিছু বেশি নয়, এদিকে AC আপনাকে এক ঘর, এক ঘর করে কমিয়েই যেতে হচ্ছে। তখন আপনার এয়ার কন্ডিশনারটি পরীক্ষা করা উচিত। গ্যাস কম থাকার ফলে এই কাণ্ড ঘটতে পারে।
4) আপনার বিদ্যুৎ বিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি এলে এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিসিং করুন। গ্যাস লেভেল কমে যাওয়ার ফলেও এমনটা হতে পারে।
5) যদি রেফ্রিজারেন্ট লাইনারে বরফ জমা হতে শুরু করে, তাহলে আপনার AC-তে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে। রেফ্রিজারেন্টের অভাবে তামার নলে বরফ জমে।
6) হিমায়িত বরফ যখন রেফ্রিজারেন্ট লাইনে গলতে শুরু করে, তখন জল আসতে শুরু করে। এ কারণে সামনের দিক থেকে জল পড়তে শুরু করে মেঝেতে আসে। এমনটা AC-র গ্যাসের সমস্যার কারণেও হতে পারে।
7) আপনার AC যদি বুদবুদ বা হিসিং শব্দ করে, তাহলে তাতে রেফ্রিজারেন্ট কম আছে। এর মানে কোথাও একটি ফুটো আছে। সিস্টেমে ফুটো থাকলে আপনাকে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে। তা না হলে সেখান থেকে গ্যাস লিক হতে পারে!