Headphone Tips: তরুণ প্রজন্মের কানের বারোটা বাজাচ্ছে! শ্রবণশক্তি না হারিয়ে যে ভাবে ইয়ারবাড-হেডফোনে গান শুনবেন

Tips To Avoid Hearing Loss From Headphone: মনে রাখবেন, হেডফোন এবং ইয়ারবাড দুই-ই আপনার কানের জন্য বিপজ্জনক। তারপরেও আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারেন সতর্কতার সঙ্গে, যদি ঠিক ভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। তাহলেই আর শ্রবণশক্তি হারানোর ভয় থাকবে না।

Headphone Tips: তরুণ প্রজন্মের কানের বারোটা বাজাচ্ছে! শ্রবণশক্তি না হারিয়ে যে ভাবে ইয়ারবাড-হেডফোনে গান শুনবেন
হেডফোন নাকি ইয়ারবাড, কোনটা ব্যবহার করা উচিত আপনার? প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2022 | 8:08 PM

Hearing Loss: ইয়ারফোন বা হেডফোনের ব্যবহার আজকাল আর লাগজ়ারি নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হয়ে উঠেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কানে সব সময়ই TWS ইয়ারবাড বা নেকব্যান্ড বা অন্য কোনও হেডফোন থাকবেই। পরিসংখ্যান বলছে, ট্রু ওয়্যারলেস যাকে আমরা TWS বলি, তার বাজার সম্প্রতি ভারতে গত বছরের তুলনায় 74.7 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই সংখ্যাটাই চিন্তা ধরাচ্ছে বিশেষজ্ঞমহলে। কারণ, এই অডিও ডিভাইসগুলি কানে গুজে সারাদিন বুঁদ থাকা মোটেই ভাল নয়। এগুলি এতটাই ক্ষতিকারক যে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন মানুষ।

সম্প্রতি BMJ Global Health-এ প্রকাশিত একটি জার্নাল অনুযায়ী, এক বিলিয়ন কিশোর-কিশোরী লাগাতার ভাবে হেডফোন এবং ইয়ারবাডের মাধ্যমে লাউড মিউজ়িক শুনে শ্রবণশক্তি হারানোর সম্ভাবনায় রয়েছে। আবার সেন্টার ফর ডিসিজ় কন্ট্রোলের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, 6-19 বছর বয়সীদের 12.5 শতাংশ এবং 20-69 বছর বয়সীদের 17 শতাংশ শব্দের অত্যধিক এক্সপোজ়ারের কারণে স্থায়ী ভাবে শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী 430 মিলিয়নেরও বেশি লোক শ্রবণশক্তি হ্রাসে ভুগছেন।

যে উপায়ে অডিও ডিভাইস ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি হারানোর ভয় থাকবে না

তারস্বরে গান শোনা সব সময়ের জন্য আনন্দ হতে পারে না, কখনও দুঃখের বিষয়ও হতে পারে। মানুষ জোরে গান শোনেন এটা ভেবে যে, পারিপার্শ্বিকের শব্দ যেন সে সময় তাঁর কানে না পৌঁছায়। মনে রাখবেন, হেডফোন এবং ইয়ারবাড দুই-ই আপনার কানের জন্য বিপজ্জনক। তারপরেও আপনি সেটি ব্যবহার করতে পারেন সতর্কতার সঙ্গে, যদি ঠিক ভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে জানেন। তাহলেই আর শ্রবণশক্তি হারানোর ভয় থাকবে না।

ভলিউম কমিয়ে শুনুন

টিভি হোক বা স্পিকার, এমনকি এই হেডফোন ও ইয়ারবাড- এগুলি থেকে গান বা অন্য যা কিছু শুনুন ভলিউম কম করে। যাতে আপনিও শুনতে পান এবং আপনার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও শুনতে পান। পাড়ার লোককে শোনানোর বোকামি করতে যাবেন না। তাতে আপনার কানেরই বারোটা বাজবে।

নয়েজ়-ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করুন

নয়েজ় ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করুন। তাতে পারিপার্শ্বিকের কোলাহল আপনার কানে পৌঁছবে না। পাশাপাশি আপনাকে হেডফোন বা ইয়ারবাডে ভলিউম বাড়িয়ে রেখেও গান শুনতে হবে না।

হেডফোন ব্যবহার করুন, ইয়ারবাড নয়

ইয়ারবাডগুলি কানের ছিদ্রকে ঢেকে রাখে এবং কানের পর্দার কাছাকাছি থাকে। হেডফোনগুলি কানের ছিদ্র ঢেকে রাখলেও সরাসরি মিউজ়িক ভাইব্রেশন আপনার কানে পাঠায় না। তাই হেডফোন আসলে ইয়ারবাডের তুলনায় কম ক্ষতিকারক।

লাগাতার না শুনে বিরতি নিন

হেডফোন বা ইয়ারবাডে টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টার গান শুনতে যাবেন না। বরং, তার পরিবর্তে আধ ঘণ্টা শুনে পাঁচ মিনিটের একটা ব্রেক নিন অথবা এক ঘণ্টা শুনে দশ মিনিটের একটা ছোট্ট ব্রেক নিয়ে নিন।

ভলিউম লিমিট সেট করে রাখুন

আপনার স্মার্টফোনের সেটিংস অপশন থেকে কাস্টম ভলিউম লিমিট সেট করতে পারেন। তার জন্য সেটিংস অপশনে গিয়ে মিউজ়িক এবং সেখান থেকে ভলিউম লিমিট সেট করে নিতে পারেন।