এই মহাবিশ্বে আমরা এখনও পর্যন্ত ‘বুদ্ধিমান জীবনের’ সন্ধান পাইনি। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, এই মহাজাগতিক বিশ্বে মানুষকেই সবথেকে বুদ্ধিমান জীব। কিন্তু তা বলে যে এলিয়েন জীবন বন্ধুত্বপূর্ণ হবে, এমনটা নয়। ইটি ছবির মতোই যে এলিয়েনরা (Aliens) মহাকাশ থেকে এসে মানুষের ভাল বন্ধু হয়ে যাবে, সে কথা ভাবলে মূর্খের স্বর্গে বাস করা হবে। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট থেকে এমনই ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত মিলেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তত চারটি এমন দূষিত বা ম্যালিশিয়াস সভ্যতা (Malicious Civilisations) রয়েছে যাদের বসবাস হোম গ্যালাক্সি, মিল্কিওয়েতে। যদিও এই দাবির সমকক্ষ-পর্যালোচনা এখনও পর্যন্ত করা যায়নি। গবেষণাটি করেছেন, স্প্যানিশ গবেষক আলবার্তো ক্যাবলেরো।
ক্যাবলেরো একজন জ্যোতির্পদার্থবিদ নন, বরং তিনি স্পেনের ভিগো ইউনিভার্সিটির কনফ্লিক্ট রেজ়োলিউশন PHD ছাত্র, সংবাদমাধ্যম ভাইস-এর একটি রিপোর্ট থেকে এমনই তথ্য জানা গিয়েছে। তিনি এর আগে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ার-পর্যালোচিত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অ্যাস্ট্রোবায়োলজির জন্য এলিয়েন জীবনের উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। সেই গবেষণাপত্রের মূলক লেখকই ছিলেন ক্যাবলেরো।
কেন চারটি বিদ্বেষপূর্ণ সভ্যতা?
কীভাবে প্রযুক্তি এলিয়েনদের এই বিদ্বেষপূর্ণ সভ্যতাগুলি একে অপরকে আক্রমণ করার সম্ভাবনা কম করে তোলে তার গণনার জন্য আলবার্তো ক্যাবলেরো একটি সূত্রের ব্যবহার করেছিলেন।
আর সেই গণনার ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের উপরে নির্ভর করে মানুষ প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে একে অপরের অঞ্চল কীভাবে আক্রমণ করেছে, তারও উল্লেখ করেছেন। মিল্কিওয়েতে সম্ভাব্য বাসযোগ্য এক্সোপ্ল্যানেটগুলিকে মিশ্রণে যুক্ত করে ওই গবেষক খুঁজে পেয়েছেন, আমাদের ছায়াপথে কমপক্ষে চারটি প্রতিকূল এলিয়েন সভ্যতা থাকতে পারে। যদিও তিনি এ-ও উল্লেখ করেছেন, সেই সব ক্ষতিকারক এলিয়েন প্রজাতির তুলনায় একটি গ্রহাণু দ্বারা পৃথিবীর ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সংবাদমাধ্যম ভাইসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ক্যাবলেরো বলেছেন,”ভিনগ্রহীদের মন সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। একটি বহির্জাগতিক সভ্যতার জীবদের ভিন্ন রাসায়নিক সংমিশ্রণ-সহ মস্তিষ্ক থাকতে পারে এবং আমাদের প্রতি তাদের কোনও সহানুভূতি না-ও থাকতে পারে বা তাদের অন্যান্য আরও মনস্তাত্ত্বিক আচরণও থাকতে পারে।”
ক্যাবলেরো দাবি করেছেন, “জীবনকে আমরা যে ভাবে চিনি, তার উপরে ভিত্তি করেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে।” বুদ্ধিমান এলিয়েন প্রজাতি সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই। কিন্তু সমগ্র গ্যালাক্সিতে বিবর্তনের ক্ষেত্রে একমাত্র মানুষই এই বিন্দুতে পৌঁছেছে এমন কোনও উপায় নেই।