Artemis 1 Moon Rocket: বার দুয়েক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সফল ভাবে চাঁদে আর্টেমিস 1 রকেট পাঠাল নাসা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Nov 16, 2022 | 3:29 PM

NASA Artemis 1 Launch: দু'বার ব্যর্থ হওয়ার পর নাসা সফল ভাবে তার আর্টেমিস 1 রকেট উৎক্ষেপণ করল চাঁদের উদ্দেশ্যে। এই মেগারকেট মহাকাশ লঞ্চ সিস্টেমটি চাঁদ থেকে বেশ কিছুটা দূরে এবং পিছনের দিকে ভ্রমণ করবে।

Follow Us

Artemis 1 Rocket Launch News: দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর নাসা সফল ভাবে তার আর্টেমিস 1 রকেট উৎক্ষেপণ করল চাঁদের উদ্দেশ্যে। এই মেগারকেট মহাকাশ লঞ্চ সিস্টেমটি চাঁদ থেকে বেশ কিছুটা দূরে এবং পিছনের দিকে ভ্রমণ করবে। বাসযোগ্য যে সব মহাকাশযানগুলির কথা আমরা সচরাচর শুনি, তার থেকে এই আর্টেমিস 1 অনেকটাই আলাদা এবং শক্তিশালীও। এই আর্টেমিস 1 মিশন হল 50 বছর পর চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখার নাসার প্রথম পদক্ষেপ। পাশাপাশি 2030 সালের দিকে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ করার নাসার পরিকল্পনারও অংশ এটি।

বুধবার, 16 নভেম্বর 0648 UTC (সকাল 6টা 48 মিনিট) নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। তারপর 0657 UTC নাগাদ নাসা জানায় যে, তার SLS রকেটটি মিশনের টাইমলাইনে প্রধান ইঞ্জিন কাটঅফে পৌঁছে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই নাসার তরফে আরও জানানো হয়, RS-25 ইঞ্জিন যথা সময়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং মূল পর্যায়টিও আলাদা হয়ে গিয়েছে।

এর পরবর্তী ধাপ হল সোলার অ্যারে স্থাপন করা, যাতে রকেটটি সূর্যালোক দ্বারা চালিত হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ফ্লাইটে কোনও ক্রু মেম্বার নেই। তাই পরীক্ষামূলক এবং ক্রুবিহীন ফ্লাইটটি চাঁদ থেকে 64,000 কিলোমিটার (40,000 মাইল) দূরে ভ্রমণ করবে।

মিশনটি 25 দিন, 11 ঘণ্টা, 36 মিনিট স্থায়ী হবে। স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) মোট 2.09 মিলিয়ন কিমি (1.3 মিলিয়ন মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করার পর 2022 সালের 11 ডিসেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবে। 1972 সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান জটিল মিশনের জন্য ডিজ়াইন করা সিরিজ়গুলির মধ্যে এটিই প্রথম।

যে নতুন SLS ব্যবহার করা হচ্ছে, তা এখনও পর্যন্ত নাসার তরফে উৎক্ষেপণ করা সবথেকে শক্তিশালী রকেট। এটি যে শুধ চাঁদ বা তার আশপাশে ভ্রমণ করবে এমনটা নয়। মানুষের ভ্রমণ উপযোগী নির্মিত কোনও মহাকাশযানের থেকে অনেক বেশি, এমনকি ছোট ছোট কিছু উপগ্রহও স্থাপন করবে।


রকেটের ওরিয়ন ক্রু ক্যাপসুলের বোর্ডে ম্যানিকুইন্স, আর্টিফ্যাক্টস, মেমেন্টোজ় এবং শূন্য-মাধ্যাকর্ষণ সূচকগুলির একটি অদ্ভুত মিশ্রণ থাকবে। এর মূল লক্ষ্য হল মহাকাশযান পরিচালনার অনুশীলন করা এবং ভবিষ্যতে ক্রু মেম্বারদের জন্য মহাকাশযানটি নিরাপদ কি না- তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় পরখ করে নেওয়া।

2024 সালে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটের আরও শক্তিশালী সংস্করণ ব্যবহার করে মহাকাশে প্রথম ক্রুযুক্ত আর্টেমিস মিশন আর্টেমিস 2 চালু করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। তার ঠিক পরেই আবার 2025 সালের জন্য আর্টেমিস 3 মিশন লঞ্চের পরিকল্পনাও করে রেখেছে স্পেস এজেন্সিটি, যেখানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে প্রথম মহিলা ও প্রথম পুরুষকে অবতরণ করানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়াহয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। এরপরেও আবার 2025 সালে আর্টেমিস 4 মিশনে মহাকাশচারীদের ‘গেটওয়ে’ নামক একটি মিনি-লুনার স্টেশনে নিয়ে যাবে নাসা।

Artemis 1 Rocket Launch News: দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পর নাসা সফল ভাবে তার আর্টেমিস 1 রকেট উৎক্ষেপণ করল চাঁদের উদ্দেশ্যে। এই মেগারকেট মহাকাশ লঞ্চ সিস্টেমটি চাঁদ থেকে বেশ কিছুটা দূরে এবং পিছনের দিকে ভ্রমণ করবে। বাসযোগ্য যে সব মহাকাশযানগুলির কথা আমরা সচরাচর শুনি, তার থেকে এই আর্টেমিস 1 অনেকটাই আলাদা এবং শক্তিশালীও। এই আর্টেমিস 1 মিশন হল 50 বছর পর চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রাখার নাসার প্রথম পদক্ষেপ। পাশাপাশি 2030 সালের দিকে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ করার নাসার পরিকল্পনারও অংশ এটি।

বুধবার, 16 নভেম্বর 0648 UTC (সকাল 6টা 48 মিনিট) নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। তারপর 0657 UTC নাগাদ নাসা জানায় যে, তার SLS রকেটটি মিশনের টাইমলাইনে প্রধান ইঞ্জিন কাটঅফে পৌঁছে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই নাসার তরফে আরও জানানো হয়, RS-25 ইঞ্জিন যথা সময়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং মূল পর্যায়টিও আলাদা হয়ে গিয়েছে।

এর পরবর্তী ধাপ হল সোলার অ্যারে স্থাপন করা, যাতে রকেটটি সূর্যালোক দ্বারা চালিত হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ফ্লাইটে কোনও ক্রু মেম্বার নেই। তাই পরীক্ষামূলক এবং ক্রুবিহীন ফ্লাইটটি চাঁদ থেকে 64,000 কিলোমিটার (40,000 মাইল) দূরে ভ্রমণ করবে।

মিশনটি 25 দিন, 11 ঘণ্টা, 36 মিনিট স্থায়ী হবে। স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (SLS) মোট 2.09 মিলিয়ন কিমি (1.3 মিলিয়ন মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করার পর 2022 সালের 11 ডিসেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবে। 1972 সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে মানুষকে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান জটিল মিশনের জন্য ডিজ়াইন করা সিরিজ়গুলির মধ্যে এটিই প্রথম।

যে নতুন SLS ব্যবহার করা হচ্ছে, তা এখনও পর্যন্ত নাসার তরফে উৎক্ষেপণ করা সবথেকে শক্তিশালী রকেট। এটি যে শুধ চাঁদ বা তার আশপাশে ভ্রমণ করবে এমনটা নয়। মানুষের ভ্রমণ উপযোগী নির্মিত কোনও মহাকাশযানের থেকে অনেক বেশি, এমনকি ছোট ছোট কিছু উপগ্রহও স্থাপন করবে।


রকেটের ওরিয়ন ক্রু ক্যাপসুলের বোর্ডে ম্যানিকুইন্স, আর্টিফ্যাক্টস, মেমেন্টোজ় এবং শূন্য-মাধ্যাকর্ষণ সূচকগুলির একটি অদ্ভুত মিশ্রণ থাকবে। এর মূল লক্ষ্য হল মহাকাশযান পরিচালনার অনুশীলন করা এবং ভবিষ্যতে ক্রু মেম্বারদের জন্য মহাকাশযানটি নিরাপদ কি না- তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় পরখ করে নেওয়া।

2024 সালে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটের আরও শক্তিশালী সংস্করণ ব্যবহার করে মহাকাশে প্রথম ক্রুযুক্ত আর্টেমিস মিশন আর্টেমিস 2 চালু করার পরিকল্পনা করেছে নাসা। তার ঠিক পরেই আবার 2025 সালের জন্য আর্টেমিস 3 মিশন লঞ্চের পরিকল্পনাও করে রেখেছে স্পেস এজেন্সিটি, যেখানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে প্রথম মহিলা ও প্রথম পুরুষকে অবতরণ করানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়াহয়েছে।

এখানেই শেষ নয়। এরপরেও আবার 2025 সালে আর্টেমিস 4 মিশনে মহাকাশচারীদের ‘গেটওয়ে’ নামক একটি মিনি-লুনার স্টেশনে নিয়ে যাবে নাসা।

Next Article