যে স্বপ্ন অধরা রয়ে গিয়েছিল 4 বছর আগে, তা কি পূরণ হবে এবার? সেই দিকেই নজর দেশ সহ সমগ্র বিশ্ববাসীর। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-3। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। দেশবাসী সহ গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে চন্দ্রযান-3 (Chandrayaan-3)-এর দিকে। চন্দ্রযান-2-এর আক্ষেপ ভুলে আবার তৈরি ভারতের বিক্রম বাহিনী। আজ, 14 জুলাই এক নতুন ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত ISRO। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শুক্রবার দুপুর 2.35 মিনিটে চন্দ্রযান-3 মিশন উৎক্ষেপণ করবে ইসরো। চলছে কাউন্টডাউন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে সমগ্র দেশবাসী।
চন্দ্রযান-3 এর রোভার চাঁদে ল্যান্ড করতে সফল হলে এক বিরাট ইতিহাস তৈরি হবে। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর ভারত হবে চতুর্থ দেশ, যাদের ল্যান্ডার সফলভাবে চাঁদে পৌঁছবে। তবে এই দেশগুলি যে সহজেই এই সাফল্য অর্জন করেছে, তা নয়। অনেক দেশ চাঁদে তাদের মিশন পাঠিয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে। ভারতও রয়েছে সেই তালিকায়। কিন্তু এবার আর আগের মতো ভুল করবে না ISRO।
আবার নতুন করে তৈরি বিজ্ঞানীরা। আগের বারের ব্যর্থটা ভুলে চন্দ্রযান-3 পা রাখবে চাঁদের মাটিতে। এই বিষয়ে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, “চন্দ্রযান-2-এর অসাফল্যের পরে একটা দিনও বসে ছিলেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, আবারও তাঁদের প্রমাণ করতে হবে যে, মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সর্বাত্মকভাবে অত্যন্ত পারদর্শী অবস্থায় পৌঁছেছেন।” তিনি আরও বলেন, “মাত্র 2 মিটার/ প্রতি সেকেন্ড বেগে এগিয়ে যাবে যানটি। এতে চন্দ্রযান-2-এর থেকে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার মিশনে চন্দ্রযান-2-এর মতো কোনও অরবিটার থাকছে না। ল্যান্ডার, রোভার-এর বাহন হচ্ছে প্রোপালশন মডিউল। সেই মডিউলই যানকে পৌঁছে দেবে চাঁদের মাটিতে। এর আগে অনেক কৃত্রিম উপায়ও অবলম্বন করা হয়েছে। কৃত্রিমভাবে চাঁদের মাটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে হেলিকপ্টার দিয়ে ল্যান্ড করা হয়েছে। কখনও আবার ক্রেনে করে তুলে নিয়ে গিয়ে অবতরণের চেষ্টা চালানো হয়েছে, এটা দেখার জন্য যে নামতে পারে কি না। ”
বিক্রম নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এখানে আলো কম, ছায়া বেশি। খনিজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মণিমুক্তো খুঁজে পাওয়া অনেক সহজ হবে। এ বিষয়ে ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানী অরূপ দাশগুপ্ত TV9 বাংলাকে বলেন, “আগের তুলনায় চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডিং জোনকে আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অবতরণ-এর সিদ্ধান্ত নেবে ল্য়ান্ডার। এবার যদি কোনও বাধা বিপত্তি আসে, সেক্ষেত্রে তখনই যানটিকে ল্যান্ড করতে হবে।”