Chinese spacecraft Returns: মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ নেই। চিন থেকে 2022 সালে একটি মহাকাশযান পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়। তারপরে সেটি সম্পর্কে কোনও রকম তথ্য প্রকাশ করেনি চিন। তবে সেই মহাকাশযানটি 276 দিন পৃথিবীর কক্ষপথে থাকার পর সোমবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। চিনের সরকারি গণমাধ্যম এটিকে ঐতিহাসিক মিশন বলে অভিহিত করছে। একটি চিনা গণমাধ্যমের মতে, মহাকাশে দীর্ঘ 276 দিন অবস্থান করেছিল এটি। এরপর চিনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিউকুয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে সফলভাবে ফিরে আসে। 2022-এর অগাস্ট মাসে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। তবে এই মহাকাশযানের বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য দেয়নি চিন। ক্রুবিহীন মহাকাশযানটি সোমবার নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই এসেছে। এই ঘটনায় কোনও গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য গোপন করেছে চিন:
মহাকাশযান সম্পর্কে অন্য কোনও নির্দিষ্ট তথ্য শেয়ার করা হয়নি চিন সরকারের তরফে। চিন এই তথ্যও সামনে আনেনি যে, কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল সেই মহাকাশযানে। এমনকী এটি কোন উদ্দেশ্যে গিয়েছিল, কত উচ্চতায় পৌঁছেছে, এতদিন কিছুই জানা যায়নি। 2022 সালের অগাস্টের শুরুতে এটি চালু হওয়ার পর থেকে এটি কোথায় পৌঁছেছে, এই ধরনের কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। যদিও একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মহাকাশযানটিতে কোনও ক্রু ছিল না। চিনের পাঠানো মহাকাশযানটির ছবিও এখনও প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষাটি ছিল পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তির উপর। যাতে ভবিষ্যতে আরও কম খরচে এবং সস্তায় মহাকাশ অভিযান চালানো যায়, সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছিল।
2021 সালের শুরুতে, চিন থেকে একই রকম একটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল, যেটি এক দিনে একটি মিশন সম্পূর্ণ করে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিল। এই বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। তবে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর X-37B-এর মতো একটি স্পেসপ্লেন তৈরির চেষ্টা করছে চিন। এই বিমান মহাকাশে বছরের পর বছর থাকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। চিন 2022-এ তিন মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠায়। তারা চিনের অসম্পূর্ণ স্পেস স্টেশনে 6 মাস ছিল। এই সময় তারা মহাকাশ স্টেশনটি নির্মাণে বিভিন্ন কাজ করেছে। এরপর মহাকাশচারী চেন ডোং, ক্যান শুঝে এবং লিউ ইয়াং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পেরেছিলেন।