কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলের পিঠে আজ ৮ বছর ধরে অবিরাম ঘুরে চলেছে। এই রোভার প্রদক্ষিণকালীন ৯ম বর্ষে পা দিল।
‘কিউরিওসিটি’ এখন মঙ্গলের সেই অংশে আছে যেখানকার মাটি খনিজে ঠাসা। সালফেটস নামের এক ধরনের লবণাক্ত খনিজের উপস্থিতি খুব বেশি মাত্রায় পাওা যাচ্ছে এখানে। রোভারের মাধ্যমে এই নতুন জায়গাটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বিচারে গবেষকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর পেয়েছেন। মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের বেশ কিছুটা গভীর থেকে যে রহস্যময় র্যাডার সিগন্যালগুলি পাওয়া যেত সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এই র্যাডারগুলি হ্রদগুলির জলের উপস্থিতি বোঝাতো বলে মনে করা হতো। এখন জানা গেছে, এই র্যাডারের সিগন্যালগুলি মাটি থেকেই তৈরি হত, জল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের এই অঞ্চলে পাহাড়ের স্তরগুলি থেকে কীভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাল ক্র্যাটার মধ্যেকার প্রাচীন পরিবেশ শুকিয়ে গেছে, তা জানা যাবে বলেই রোভারের গবেষকরা মনে করেছিলেন। গবেষকরা অনেকদিন থেকেই এই অঞ্চলের পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। এই অঞ্চলটি মঙ্গলের জলবায়ু নিয়ে বিশেষ ধারণা দিতে পারবে কারণ, এই অঞ্চলের জলবায়ুর প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।
কিউরিওসিটির ডেপুটি প্রজেক্ট বিজ্ঞানী অ্যাবিগেল ফ্রেম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এখানকার পাথরগুলি আমাদের জানাতে শুরু করবে কীভাবে এই এক কালীন আর্দ্র গ্রহটি আজকের শুষ্ক মঙ্গল গ্রহে পরিণত হয়েছে। আর শুকিয়ে যাওয়ার পরেও কতদিন বাসযোগ্য ছিল এই গ্রহ।”
কিউরিওসিটি প্রথম ২০১২ সালে মঙ্গল গ্রহে এসেছিল। তারপর থেকে এটি নিজের মতো অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীকালে পার্সিভারেন্স রোভারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। রোভারটি এই গ্রহের প্রাচীন আবহাওয়া মাইক্রোবায়াল জীবনকে সমর্থন করে কিনা তা দেখার জন্য মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করছে।
মঙ্গলে ‘কিউরিওসিটি’ আট বছরে:
রোভারটি এই দীর্ঘ আট বছরের দৈর্ঘ্যে মঙ্গল গ্রহের প্রায় ২৬ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করেছে এবং ৩২ রকমের পাথরের স্যাম্পল জোগাড় করেছে। নাসার (NASA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “কিউরওসিটির ৩২ তম নমুনা যা ‘পন্টুরস’ নামে পরিচিত তাতে বোঝা যাবে কীভাবে মাটির এই বিশেষ অংশটিতে সালফেটের প্রভাব পড়েছিল। সালফেটের প্রভাবের কারণে মাটির ক্ষয় কেমন পরিমাণে হয়েছে তাও জানা যাবে।”
যেহেতু এখন কিউরিওসিটি যে জায়গায় আছে সেখানে শীতকাল, তাই নতুন প্যানোরামায় দেখতে পাওয়া আকাশ অপেক্ষাকৃত ধুলোমুক্ত। এর ফলে গ্যাল ক্র্যাটারের মেঝে পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
Gale crater থেকে কিউরিওসিটি যে মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছিল, সাম্প্রতিককালে সেই নমুনা ফের প্রমাণ করেছে যে এই গ্রহে এক সময় প্রাণোপযুক্ত জলবায়ু ছিল।
গর্তটি পরীক্ষা করার পর মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরির গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে,প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত এই ক্রেটারে একটি হ্রদ ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে মঙ্গলের এই বিশেষ কিছু অংশ একসময় হাজার হাজার বছর ধরে বাসযোগ্য ছিল।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে এই হ্রদের অস্তিত্ব ছিল। যখন এই গ্রহে হ্রদের জলকে বহন করার মতো আর্দ্র ঘন জলবায়ু ছিল। যদিও, এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে হ্রদের জলে জীবন উপযোগী পদার্থ ছিল কি না।
আরও পড়ুন: লালগ্রহে যাবেন নাকি? ১ বছরের জন্য বসবাসের সুবর্ণসুযোগের অফার নাসার!
কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলের পিঠে আজ ৮ বছর ধরে অবিরাম ঘুরে চলেছে। এই রোভার প্রদক্ষিণকালীন ৯ম বর্ষে পা দিল।
‘কিউরিওসিটি’ এখন মঙ্গলের সেই অংশে আছে যেখানকার মাটি খনিজে ঠাসা। সালফেটস নামের এক ধরনের লবণাক্ত খনিজের উপস্থিতি খুব বেশি মাত্রায় পাওা যাচ্ছে এখানে। রোভারের মাধ্যমে এই নতুন জায়গাটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বিচারে গবেষকরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর পেয়েছেন। মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের বেশ কিছুটা গভীর থেকে যে রহস্যময় র্যাডার সিগন্যালগুলি পাওয়া যেত সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এই র্যাডারগুলি হ্রদগুলির জলের উপস্থিতি বোঝাতো বলে মনে করা হতো। এখন জানা গেছে, এই র্যাডারের সিগন্যালগুলি মাটি থেকেই তৈরি হত, জল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের এই অঞ্চলে পাহাড়ের স্তরগুলি থেকে কীভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্যাল ক্র্যাটার মধ্যেকার প্রাচীন পরিবেশ শুকিয়ে গেছে, তা জানা যাবে বলেই রোভারের গবেষকরা মনে করেছিলেন। গবেষকরা অনেকদিন থেকেই এই অঞ্চলের পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। এই অঞ্চলটি মঙ্গলের জলবায়ু নিয়ে বিশেষ ধারণা দিতে পারবে কারণ, এই অঞ্চলের জলবায়ুর প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।
কিউরিওসিটির ডেপুটি প্রজেক্ট বিজ্ঞানী অ্যাবিগেল ফ্রেম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এখানকার পাথরগুলি আমাদের জানাতে শুরু করবে কীভাবে এই এক কালীন আর্দ্র গ্রহটি আজকের শুষ্ক মঙ্গল গ্রহে পরিণত হয়েছে। আর শুকিয়ে যাওয়ার পরেও কতদিন বাসযোগ্য ছিল এই গ্রহ।”
কিউরিওসিটি প্রথম ২০১২ সালে মঙ্গল গ্রহে এসেছিল। তারপর থেকে এটি নিজের মতো অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীকালে পার্সিভারেন্স রোভারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। রোভারটি এই গ্রহের প্রাচীন আবহাওয়া মাইক্রোবায়াল জীবনকে সমর্থন করে কিনা তা দেখার জন্য মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করছে।
মঙ্গলে ‘কিউরিওসিটি’ আট বছরে:
রোভারটি এই দীর্ঘ আট বছরের দৈর্ঘ্যে মঙ্গল গ্রহের প্রায় ২৬ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করেছে এবং ৩২ রকমের পাথরের স্যাম্পল জোগাড় করেছে। নাসার (NASA) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “কিউরওসিটির ৩২ তম নমুনা যা ‘পন্টুরস’ নামে পরিচিত তাতে বোঝা যাবে কীভাবে মাটির এই বিশেষ অংশটিতে সালফেটের প্রভাব পড়েছিল। সালফেটের প্রভাবের কারণে মাটির ক্ষয় কেমন পরিমাণে হয়েছে তাও জানা যাবে।”
যেহেতু এখন কিউরিওসিটি যে জায়গায় আছে সেখানে শীতকাল, তাই নতুন প্যানোরামায় দেখতে পাওয়া আকাশ অপেক্ষাকৃত ধুলোমুক্ত। এর ফলে গ্যাল ক্র্যাটারের মেঝে পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
Gale crater থেকে কিউরিওসিটি যে মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছিল, সাম্প্রতিককালে সেই নমুনা ফের প্রমাণ করেছে যে এই গ্রহে এক সময় প্রাণোপযুক্ত জলবায়ু ছিল।
গর্তটি পরীক্ষা করার পর মার্স সায়েন্স ল্যাবরেটরির গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে,প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত এই ক্রেটারে একটি হ্রদ ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে মঙ্গলের এই বিশেষ কিছু অংশ একসময় হাজার হাজার বছর ধরে বাসযোগ্য ছিল।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে এই হ্রদের অস্তিত্ব ছিল। যখন এই গ্রহে হ্রদের জলকে বহন করার মতো আর্দ্র ঘন জলবায়ু ছিল। যদিও, এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে হ্রদের জলে জীবন উপযোগী পদার্থ ছিল কি না।
আরও পড়ুন: লালগ্রহে যাবেন নাকি? ১ বছরের জন্য বসবাসের সুবর্ণসুযোগের অফার নাসার!