মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে পৃথিবীর তাপ ধরে রাখার হার হয়েছে দ্বিগুণ! জানাচ্ছে নাসা

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অরণ্য ধ্বংস এবং মানুষের অবিবেচকের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কার্বনডাই অক্সাইড, মিথেনের মতো গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি করছে বায়ুমণ্ডলে।

মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে পৃথিবীর তাপ ধরে রাখার হার হয়েছে দ্বিগুণ! জানাচ্ছে নাসা
গত ১৪ বছরে পৃথিবীর তাপ ধরে রাখার হার বেড়েছে দ্বিগুণ!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2021 | 12:26 AM

নাসা (NASA) এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA)-এর সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে সারা বিশ্বে পড়ে গিয়েছে চাঞ্চল্য! এনওএএ এবং নাসার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২০০৫ থেকে ২০১৯— এই সময়কালে পৃথিবীর শক্তির ভারসাম্যে ঘটেছে দ্বিগুণ পরিবর্তন!

গত ১৪ বছরে পৃথিবীর তাপ ধরে রাখার হার বেড়েছে দ্বিগুণ! জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস-এ এই পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: চিনের মহাকাশযান Shenzhou-12-য় চড়ে স্পেস স্টেশনে পৌঁছলেন তিন নভশ্চর

সূর্য থেকে যে তাপ পৃথিবীর বুকে আসে তা অনেকটাই ভূপৃষ্ঠ এবং বায়ুমণ্ডল দ্বারা শোষিত হয়। আর এখানেই বিস্ময় জাগিয়ে রেখেছে পৃথিবী! আমাদের নীল গ্রহ ঠিক কতটা পরিমাণে অবলোহিত তাপ (thermal infrared radiation) মহাশূন্যে বিকিরণ করবে তার উপরেই নির্ভর করে আমাদের জলবায়ুর প্রকৃতি! অতএব বিষয়টি হল, আমরা পৃথিবীর কতটা যত্ন নিচ্ছি তার উপর নির্ভর করবে জলবায়ুর ধরন!

পৃথিবীর শক্তির ভারসাম্য সম্পর্কিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষাটা চালানোর জন্য বিজ্ঞানীরা মূলত দুই ধরনের তথ্যের মধ্যে তূল্যমূল্য বিচার চালিয়েছিলেন। তাঁরা তথ্যের জন্য নির্ভর করেছিলেন— নাসার মেঘ এবং পৃথিবীর বিকিরিত শক্তি ব্যবস্থা (Cloud and Earth’s Radiant Energy System অথবা সিইআরইএস) এবং ‘আর্গো’র উপর। ‘আর্গো’ আসলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রে ছড়ানো বিশেষ ধরনের বয়েজ-এর নাম। আর্গোর মাধ্যমে সাগরে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাব নিয়ে নিখুঁত তথ্য পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কাছে দৈত্যাকার ‘ব্লিঙ্কিং’ নক্ষত্রের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

ভার্জিনিয়ার হাম্পটনের ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারে নাসার সিইআরইএস-এর প্রধান অনুসন্ধানকারী ও প্রবন্ধটির মূল লেখক নরম্যান লোব জানিয়েছেন, দু’টি স্বাধীন পর্যবেক্ষণের তথ্য পৃথিবীর শক্তির ভারসাম্যের তারতম্য বুঝতে প্রভূত সাহায্য করেছে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অরণ্য ধ্বংস এবং মানুষের অবিবেচকের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কার্বনডাই অক্সাইড, মিথেনের মতো গ্রিন হাউজ গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি করছে বায়ুমণ্ডলে। গ্রিন হাউজ গ্যাস ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপ অনেক বেশি মাত্রায় ধরে রাখছে! মহাকাশে তাপ ছড়িয়ে যেতে পারছে না। বৈজ্ঞানিকরা সতর্ক করছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে, দীর্ঘ মেয়াদি হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে যা মানবজাতির পক্ষে নেতিবাচক প্রভাব ডেকে আনবে!