চিনের মহাকাশযান Shenzhou-12-য় চড়ে স্পেস স্টেশনে পৌঁছলেন তিন নভশ্চর
স্টেট ব্রডকাস্টার সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, গন্তব্যে পৌঁছনোর পর তিন নভশ্চর তাঁদের হেলমেট খুলেছেন। একজন আবার হেসে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাতও নেড়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অভিযান সফল হয়েছে।
তিনজন নভশ্চর নিয়ে মহাকাশযাত্রা শুরু করেছে চিনের মহাকাশযান। এই নভশ্চরদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি নির্মীয়মান স্পেস স্টেশনের অংশে। বলা হচ্ছে, পৃথিবীর লোয়ার অরবিটে সবচেয়ে বেশদিন থাকার জন্য এই স্পেস স্টেশন তৈরি করছে চিন।
ইতিমধ্যেই ওই স্পেস স্টেশনে সফলভাবেই পৌঁছে গিয়েছেন নভশ্চররা। জানা গিয়েছে, একটি Long March 2F রকেটের সাহায্যে Shenzhou-12 মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে ওই স্পেস স্টেশনে। উত্তর-পশ্চিম গান্সু প্রদেশের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপন করা হয় এই মহাকাশযান। তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে এই মহাকাশযানের। জানা গিয়েছে, আপাতত এই তিন নভশ্চর ওই স্পেস স্টেশনেই থাকবেন আগামী তিন মাস। Nie Haisheng (৫৬), Liu Boming (৫৪) এবং Tang Hongbo (৪৫)… এই তিনজন নভশ্চর আগামী তিনমাস তিয়ানহে- তেই থাকবেন। সেখানেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা।
The #Shenzhou12 manned spaceship was successfully launched at 9:22am today(17/6) in China's Jiuquan Satellite Launch Center. The 3 astronauts will stay in orbit for 3 months for the construction of China's #SpaceStation. Congratulations! pic.twitter.com/LYZlXhtSuD
— Ambassador Deng Xijun (@China2ASEAN) June 17, 2021
স্টেট ব্রডকাস্টার সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, গন্তব্যে পৌঁছনোর পর তিন নভশ্চর তাঁদের হেলমেট খুলেছেন। একজন আবার হেসে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাতও নেড়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অভিযান সফল হয়েছে। জানা গিয়েছে, Shenzhou-12 মহাকাশযান পাঠানো চিনের ১১টি মিশনের মধ্যে তৃতীয় অভিযান। এই ১১টি অভিযানের মধ্যে চারটি মিশনে নভশ্চরদের নিয়েই মহাকাশে পাড়ি দেবে চিনের মহাকাশযান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনটি মডিউলে প্রথম স্পেস স্টেশন তৈরি করছে চিন। তাদের এই স্পেস স্টেশনের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম মডিউল হল তিয়ানহে। গত ২৯ এপ্রিল লঞ্চ হয়েছিল এই তিয়ানহে মডিউল জানা গিয়েছে, তিয়ানগং স্পেস প্রোগ্রামের প্রথম পর্যায় ছিল এটি।
আরও পড়ুন- আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কাছে দৈত্যাকার ‘ব্লিঙ্কিং’ নক্ষত্রের সন্ধান পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
জানা গিয়েছে, তিয়ানহে মডিউল দেখতে অনেকটা সিলিন্ডারের মতো। বাসের তুলনায় আয়তনে সামান্য বড়। যে তিন নভশ্চর আগামী তিনমাস এখানে থাকবেন, তাঁরা এই মডিউলের বিভিন্ন প্রযুক্তির পাশাপাশি এখানকার লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমও খুঁটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এছাড়া এই নভশ্চরার বেশি সময়ের জন্য স্পেসে থাকার ক্ষেত্রে শারীরিক ভাবে কতটা উপযোগী তাও মনিটর করা হবে।