Venus: শুক্রগ্রহেও এবার অভিযান চালাবে ইসরো, ২০২৪- এ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

May 04, 2022 | 6:53 PM

Venus: মনে করা হয় যে শুক্র গ্রহ একদা পৃথিবীর মতোই ছিল। অনেক বিজ্ঞানীই এই শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই শুক্র গ্রহ প্রাণের বসবাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি।

Venus: শুক্রগ্রহেও এবার অভিযান চালাবে ইসরো, ২০২৪- এ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ
ছবি প্রতীকী।

Follow Us

চাঁদ এবং মঙ্গলগ্রহে (Moon and Mars) অভিযানের পর এবার ইসরো (ISRO) শুক্র গ্রহে (Venus) অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হল এই শুক্র গ্রহ। এবার সেই গ্রহ পর্যবেক্ষণের জন্যই মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। জানা গিয়েছে, শুক্র গ্রহের চারপাশের অরবিট অর্থাৎ কক্ষপথে এই স্পেসক্র্যাফট বা মহাকাশযান ঘুরবে। শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠদেশের তলদেশে কী কী সঞ্চিত রয়েছে তা জানার জন্যই পাঠানো হবে এই মহাকাশযান। এর পাশাপাশি শুক্র গ্রহে সালফিউরিক অ্যাসিড যুক্ত মেঘ দেখা যায়। তার মধ্যে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সেটাও জানা যাবে এই মহাকাশযানের মাধ্যমে। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ সারাদিনব্যাপী একটি মিটিংয়ের পর জানিয়েছেন শুক্রগ্রহে এই অভিযান হচ্ছেই। আপাতত একটি প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হবে এবং কত অর্থের প্রয়োজন সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

শোনা যাচ্ছে সম্ভবত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এই মহাকাশযান পাঠানো হবে। বর্তমানে এস সোমনাথ ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুক্র গ্রহে এই অভিযানের দিকেই নজর রাখতে বলেছেন। এর পাশাপাশি ইসরোর চেয়ারম্যান একথাও বলেছেন যে বর্তমানে ভারতের কাছে যে ক্ষমতা রয়েছে তার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শুক্র গ্রহে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে ভারতে। আপাতত ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসকেই পাখির চোখ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কারণ ওই সময় পৃথিবী এবং শুক্র গ্রহ এমনভাবেই অ্যালাইন হবে অর্থাৎ এক সরলরেখায় সারিবদ্ধ হবে যে খুব সামান্য পরিমাণ প্রপেল্যান্ট ব্যবহারের মাধ্যমেই স্পেসক্র্যাফট প্রতিবেশী গ্রহের কক্ষপথে পাঠানো সম্ভব হবে। এর পরবর্তী সময়ে ২০৩১ সালে এরকম সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানীরা।

ইসরোর বিজ্ঞানীরা শুক্র গ্রহের অভিযান নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁরা বলছেন চন্দ্রযান-১ কিংবা মার্স অরবিটার মিশনের মাধ্যমে যে সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছিল, শুক্র গ্রহের অভিযানের ক্ষেত্রেও তেমন সাফল্যই আসতে চলেছে। এই অভিযানে মূলত শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠদেশের তলদেশে কী কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পর্যবেক্ষণ চালানো হবে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠদেশেও। এখানে অ্যাক্টিভ ভলক্যানিক হটস্পট এবং লাভা ফ্লো, গঠনের খুঁটিনাটি, কমোজিশন, আবহাওয়া, বায়ুপ্রবাহ, ভেনাসিয়ান আয়নোস্ফিয়ার সবই পর্যবেক্ষণ করা হবে খুঁটিয়ে।

শুক্র গ্রহে অভিযানের কারণ কী?

ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, যেমন আমেরিকাও শুক্র গ্রহে অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এই গ্রহের অতিরিক্ত উত্তাপই মূলত আকর্ষণের কারণ। আর কেন এই গ্রহে উষ্ণতা এত মারাত্মক সেটাই অনুধাবনের চেষ্টা চালাচ্ছেন বৈজ্ঞানিকরা। অন্যদিকে মনে করা হয় যে শুক্র গ্রহ একদা পৃথিবীর মতোই ছিল। অনেক বিজ্ঞানীই এই শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজও বলে থাকেন। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই শুক্র গ্রহ প্রাণের বসবাসযোগ্য হয়ে ওঠেনি। আর সেই জন্যই শুক্র গ্রহ বেশি করে পর্যবেক্ষণ এবং আবিষ্কার করা প্রয়োজন।

Next Article